চলমান পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদ এবং মার্চেই পুনরায় পরীক্ষা শুরুর দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সিটি কলেজ, হাজেরা তজু কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের দাবি- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেশন জট। করোনার কারণে এই জট আরো বেড়েছে। পরীক্ষা শুরুর মাধ্যমে এ সংকট থেকে উত্তোরণে কিছুটা আশার আলো দেখা দেয়। কিন্তু চলমান পরীক্ষা হঠাৎ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর জন্য বজ্রপাতের মতো হয়ে এসেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান আছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকার সাত কলেজের পরীক্ষা নিতে পারলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন নেওয়া যাবে না, এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
সরকারি সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থীর দাবি- আমরা ২০১৮ সালের মাস্টার্স পরীক্ষার্থী। পড়ালেখা শেষ করতে করতেই চাকরির বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। তাহলে চাকরিতে যোগ দিব কখন। আবার বয়স পার হয়ে গেলে চাকরিতে আবেদন করারও সুযোগ পাওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের কী হবে? এর দায়ভার কে নেবে?
চট্টগ্রাম কলেজের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকার সাতটি কলেজের যদি পরীক্ষা নিতে পারে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন নেয়া যাবে না। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে, যেখানে মে মাস থেকে পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সময়সূচি মানি না। আগামী মাসের (মার্চ) মধ্যে আমাদের পরীক্ষা না নিলে আমরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।












