চট্টগ্রামে কাঁচা চামড়া আড়তদাররা এবার ২৫ কোটি টাকার কোরবানির কাঁচা চামড়া বিক্রি করেছেন। এবার চট্টগ্রামের ৪০ জন আড়তদার কোরবানির দিন শহর ও গ্রামগঞ্জ থেকে ৩ লাখ ১৩ হাজার কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে সংগ্রহ করেছিলেন। বিগত বছরগুলোতে কোরবানি পরবর্তী দীর্ঘদিন আড়তে চামড়া অবিক্রিত থেকে গেলেও এবার কিন্তু কোরবানি পরবর্তী দেড় মাসের মধ্যে চট্টগ্রামের আড়তদারদের সব চামড়া বিক্রি হয়ে গেছে। একাধিক আড়তদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম না পেলেও লোকসান হয়নি তাদের। প্রতি চামড়াতে ৩০–৪০ টাকা করে লাভ হয়েছে। প্রতিটি চামড়া গড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানান চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন আড়তদার।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, এবার আমরা ৪০ জন আড়তদার কোরবানির ৩ লাখ ১৩ হাজার কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে মজুদ করেছিলাম। সব চামড়া বিক্রি হয়েছে। এবার সব মিলে ২৫ কোটি টাকার মতো চামড়া বিক্রি হয়েছে। আমাদের বিক্রির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যানারি এসোসিয়েশন যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল আমরা ট্যানারি মালিকদের কাছে সেই দামে চামড়া বিক্রি করতে পারিনি। তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। তারপরও প্রতি চামড়াতে ৩০–৪০ টাকা করে লাভ হয়েছে। প্রতিটি চামড়া গড়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকায় বিক্রি করেছি।
আমি নিজে এবার ১১ হাজার কাঁচা চামড়া কিনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছিলাম। আমার সব বিক্রি হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে আড়তদারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করেন মো. আলী। তিনি এবার ৩৫ হাজার চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছিলেন। উনার কাছ থেকে ঢাকার এক ট্যানারি মালিক নিয়েছেন ২৪ হাজার, আর এক ট্যানারি মালিক নিয়েছেন ৪ হাজার। অবশিষ্ট চামড়াও বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক ট্যানারি মালিক আড়তদারদের কাছ থেকে চামড়া কিনে তাদের কাছেই রেখে দিয়েছেন।
চট্টগ্রামের কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির বেশ কয়েকজন আড়তদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার চট্টগ্রামে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের টার্গেট ছিল। এর মধ্যে সাড়ে তিন লাখ টার্গেট ছিল গরুর। গত ২৯ জুন কোরবানির দিন সারাদিনে আড়তদাররা চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন মাত্র তিন লাখ ১৯ হাজার পিস। এর মধ্যে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ পিস গরুর চামড়া। বাকিগুলো মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার।