চট্টগ্রামে হাইকোর্টের বেঞ্চ প্রতিষ্ঠায় কিছু আমলা ও বুদ্ধিজীবী বিরোধিতা করছেন

মতবিনিময় সভায় বক্তারা

| রবিবার , ১৩ জুলাই, ২০২৫ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

অতীতে কলকাতা কেন্দ্রীক বুদ্ধিজীবীরা ব্যক্তি স্বার্থে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা উন্নয়নের বিরোধিতা করেছিলেন, আজ রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রীক কিছু আমলা ও বুদ্ধিজীবী ব্যক্তি স্বার্থে চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ দিনের ন্যায্য দাবির বিরোধিতা করে আসছেন। এটা জাতীয় স্বার্থের ও উন্নয়নের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

গতকাল নগরীর প্রেস ক্লাবে বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত দেশের ২য় বৃহত্তম বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তে সরকার এবং রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যমতকে স্বাগত জানিয়ে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এবং হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এএসএম বদরুল আনোয়ার। বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম মাহবুব চৌধুরী, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ারস অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি প্রকৌশলী সেলিম মো. জানে আলম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহকারী নির্বাচন কমিশনার ম. বখতিয়ার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অভীক ওসমান, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম সমন্বয়ক এডভোকেট বদরুল হুদা মামুন, সদস্য এডভোকেট মো. বদরুল রিয়াজ, বিজিএমইএ এর পরিচালক এম সাইফ উল্লাহ মানসুর, সাংবাদিক নেতা জাহিদুল করিম কচি ও রিহ্যাব নেতা আবদুল গাফফার মিয়াজি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট কাশেম কামাল।

বক্তারা বলেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা হাইকোর্ট আজ প্রায় ২০ কোটি মানুষের সেবা দিতে অক্ষম। দেশের ৮০% ব্যবসা বাণিজ্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীক হওয়া সত্বেও বিচারপ্রার্থীদের আইনি ব্যবস্থা নিতে রাজধানী ঢাকায় দৌঁড়াতে হয়। একদিকে রাজধানী ঢাকা যানজট ও পৃথিবীর অন্যতম দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে, অপর দিকে মামলার জটে স্থবির হয়ে পড়েছে বিচার ব্যবস্থা। ফলে বিচারপ্রার্থীদের সময় ও অর্থ ব্যয় বহুগুণ বেড়ে গেছে। বিলম্বিত বিচার ব্যবস্থা বিচারহীনতার নামান্তর।

চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সমপ্রতি সরকারের আইন ও বিচার সংস্কার কমিশনের উদ্যোগে চট্টগ্রামে সুপ্রিমকোর্টের স্থায়ী হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও বাস্তবসম্মত উদ্যোগ। বক্তারা বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি, ছোটবড় যে কোনো মামলার জন্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী কেন্দ্রীক হাইকোর্টে দৌঁড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে এবং বিচার প্রার্থীদেরকে আর্থিক ও নানাবিধ দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে কোম্পানি মেটার ও সমুদ্র অধিক্ষেত্র সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমার জন্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় দৌঁড়াতে হয়। ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ দুর্দশা লাঘবে চট্টগ্রামে অনতিবিলম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখুনীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি
পরবর্তী নিবন্ধসায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহিতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ : প্রেস সচিব