দুই সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও ৬-৫৯ মাস বয়সী ১৩ লাখের বেশি শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সীদের একটি করে নীল রঙের (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের (২ লাখ ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল না খাওয়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া ছয় মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
আজ সকালে সীতাকুণ্ডের একটি স্কুলে সীমিত পরিসরে এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। সিভিল সার্জন বলেন, আনুষ্ঠানিক কোনো প্রোগ্রাম নেই। কেবল দুই-একজন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হবে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর দুই সপ্তাহব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৩ লাখ ১৮ হাজার ২৩৩ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। এর মধ্যে জেলার ১৪টি উপজেলায় ৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মাঝে ৬-১১ মাস বয়সী ৮৮ হাজার ৭১৩ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫২০ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সাড়ে চার লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলার ৪ হাজার ৮০০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এবারের ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে জেলার ১৫ উপজেলায় পর্যবেক্ষণ করতে ১০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে ৫ সদস্যের মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।