চট্টগ্রামে সম্মিলিত পরিষদ থেকে ৭ ও ফোরাম থেকে ২ জন বিজয়ী

বিজিএমইএর সভাপতি হচ্ছেন ফারুক হাসান

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৫ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র দ্বিবার্ষিক (২০২১-২০২৩) নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের অধিকাংশ প্রার্থীই জয়লাভ করেছেন। এ প্যানেলের নেতৃত্বে আছেন বিজিএমইএ’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান। নির্বাচনে বিজয়ী পরিচালকরা সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে এ বি এম সামছুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ফোরাম ১১ পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ী পরিচালকরা আগামী ১৬ এপ্রিল সভাপতি ও সাত জন সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে ২০ এপ্রিল আগামী দুই বছরের নতুন কমিটি বিজিএমইএর দায়িত্ব নেবে। চট্টগ্রামে সম্মিলিত পরিষদ থেকে ৭ জন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানভীর হাবিব, এ এম শফিউল করিম, মো. হাসান, এম আহসানুল হক, রকিবুল আলম চৌধুরী, ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা। আর ফোরামের বিজয়ী ২ জন হলেন মো. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আবদুস সালাম।

ঢাকায় সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ীরা হলেন, ফারুক হাসান, এস এম মান্নান, আরশাদ জামাল, শহীদউল্লাহ আজিম, শেহরীন সালাম, আসিফ আশরাফ, মহীউদ্দিন রুবেল, তানভীর আহমেদ, খসরু চৌধুরী, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশীদ, রাজীভ চৌধুরী, মিরান আলী, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ইমরানুর রহমান, নাছির উদ্দিন ও সাজ্জাদুর রহমান মৃধা। এখানে ফোরামের বিজয়ীরা হলেন-রুবানা হক, এম এ রহিম, মাহমুদ হাসান খান, আসিফ ইব্রাহিম, ফয়সাল সামাদ, নাভিদুল হক, ভিদিয়া অমৃত খান, ইনামুল হক খান ও মিজানুর রহমান।
প্রসঙ্গত, বিজিএমইএর ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন গতকাল রোববার শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়। দশ ঘণ্টার ভোটে সংগঠনটির ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৮৬ শতাংশ ভোটার বা ১ হাজার ৯৯৬ জন নিজেদের রায় দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করে সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন বোর্ড।
নির্বাচনে সর্বাধিক ১ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ফারুক হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফোরামের প্রার্থী বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক। তার ছেলে নাভিদুল হকও বিজয়ী হয়েছেন। তবে ফোরামের দলনেতা এ বি এম সামছুদ্দিন ৯০৪ ভোট পেয়ে হেরে গেছেন বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়।
বিজিএমইএ’র চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চট্টগ্রাম নির্বাচন কেন্দ্রে ৪৬১ ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯২ জন। অর্থাৎ গড়ে ৮৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। মহামারি করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন বোর্ড ভোটের সময় আট ঘণ্টার পরিবর্তে দশ ঘণ্টা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবি : ৫ লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধপুঁজিবাজার : একদিনে সাড়ে ১২ মাসের সর্বোচ্চ পতন