চট্টগ্রামে অপহরণ করে বিক্রি করা শিশুকে ৭দিন পর উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার এবং রাতে বাহ্মণবাড়িয়া সরাইল এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-০৭ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায়।
র্যাব-৭ জানায়, ১ বছর ৩ মাস বয়সী একটি শিশুকে দুলাল নামের এক ব্যক্তি কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই সেই শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-৭ চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার তার ৫ বছর বয়সী কন্যা ও ১ বছর ৩ মাস বয়সী শিশু পুত্র রাব্বীকে নিয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে আসলে দুলাল নামে একজন ব্যক্তি সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে ফাতেমা আক্তার দুলাল মিয়াকে নেত্রকোনা ট্রেনের সময় জিজ্ঞাসা করলে দুলাল মিয়া জানায় আজকে নেত্রকোণাগামী কোনো ট্রেন নেই। ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার দুলাল মিয়াকে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী এলাকায় তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে দুলাল মিয়া ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার এবং তার সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করতে থাকে।
ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে দুলাল মিয়া ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তারকে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানার বাসুর কলোনিতে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি রুম ভাড়া করে দেন। পরর্বতীতে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার সকালের নাস্তা খেয়ে বাথরুমে গেলে এই সুযোগে দুলাল মিয়া ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তারের ছেলে শিশু রাব্বীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তারের স্বামী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় মোঃ দুলাল মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. দুলালের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় চুরির ১টি মামলা আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।