বিএনপির চতুর্থ দফার অবরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে বাড়ানো হয়েছে তিন প্লাটুন বিজিবি। যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে বিজিবি সদস্যরা কাজ করবেন। নগরে প্রয়োজন পড়লে রাস্তায় নামানো হবে। এর আগ পর্যন্ত স্ট্যান্ড বাই থাকবেন বিজিবি সদস্যরা। তিন প্লাটুন বিজিবি বাড়ানোয় চট্টগ্রামজুড়ে বিজিবির প্লাটুন সংখ্যা হয়েছে ১৪ টি। এর আগে বিএনপি–জামায়াতের হরতাল–অবরোধ শুরুর পর ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বর্ধিত তিন প্লাটুনসহ মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি গতকাল থেকে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মামুনুর রহমান।
তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, বিএনপি–জামায়াতের হরতাল–অবরোধ শুরুর পর চট্টগ্রামে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল। এর সাথে আজকে (গতকাল) নতুন করে তিন প্লাটুন বিজিবি যুক্ত হয়েছে। উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিজিবি সাথে নিয়ে কাজ করবেন। নগরীতেও একইভাবে চলবে। তবে নগরীর জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যরা স্ট্যান্ড বাই থাকবেন। প্রয়োজন পড়লে তাদের ডাকা হবে। মূলত মহাসড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সাফ্লাই–চেইন স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি সাথে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন। এছাড়া মাদক পাচার রোধে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারেও কাজ করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের টিম। কোনোভাবেই মাদক চোরাচালান করতে দেওয়া হবে না। কোস্টাল এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর থাকবে বিজিবি বলেও জানান মামুনুর রহমান। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, বিশেষ করে সীতাকুণ্ড–মীরসরাইয়ে কাজ করছে বিজিবি। সাথে আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বাসের নিরাপত্তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। একইসাথে সাফ্লাই–চেইন ঠিক রাখতে কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, আজকে (গতকাল) জেলা আইন–শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মাদক চোরাচালান রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো ঠিকভাবে চলছে কিনা তা তদারকির কথা হয়েছে। নিরাময় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করতে হবে। পণ্যের সাফ্লাই–চেইন স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টানেলের নিরাপত্তা প্রদান বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছি। ৫ টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। টানেলকে গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা হবে। কোস্টাল এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সভায় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকাসহ নানা জেলা থেকে আসা পণ্যের সাফ্লাই চেইন স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শীঘ্রই মিটিং অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, গতকাল সারাদেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি ৪৬০ টি টহল টিম নামিয়েছে র্যাব।