চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে সর্বস্তরের জনগণ। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তুলতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও বিভিন্ন ভবনে আলোকায়ন করা হয়। গতকাল বুধবার ভোরের আলো ফুটতেই নগরীর প্রতিটি এলাকায় বেজে উঠে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক কালজয়ী ভাষণ। সরকারি বেসরকারি অফিস ও রাজনৈতিক-সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় জন্মশতবার্ষিকীর দিনব্যাপী কর্মসূচি। সকাল থেকে ছিল মুক্তিযুদ্ধের গান, আলোচনা সভা, শিশু সমাবেশ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর বই বিতরণ ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাসহ নানা আয়োজন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় নজরকাড়া বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সেনানিবাস। এছাড়া গতকাল রাত ৮টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণের সাথে মিল রেখে বর্ণিল আতশবাজি ফাটানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। এর আগে সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীর ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেন, আজকের দিনেই (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যখন থেকে বুঝতে শিখেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়ালেন। বাংলার স্বর্বস্তরের মানুষের পক্ষে কথা বলা শুরু করলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করলেন। পরিণত হলেন শিশু থেকে বাঙালি জাতির পিতায়।
এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর রচনা ও ৭ মার্চের ভাষণের উপর প্রতিযোগিতা, জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হাতের লেখা, নৃত্য ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, বিভিন্ন মসজিদ-খানকায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া শিশু সদন, শিশু পরিবার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, সকাল ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পায়রা ও ফেস্টুন উড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর উপর বিভিন্ন পুস্তক ও ছবি প্রদর্শিত হয়।
২৪ পদাতিক ডিভিশন : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে গতকাল যথাযথ মর্যাদা, সম্মান ও ভাবগাম্ভীর্য্যের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং এরিয়া সদর দপ্তরের নিসর্গ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ ও দেশ গঠনে রাজনৈতিক অবদান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চিত্র তুলে ধরে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন। এছাড়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সকল অফিসারসহ বিভিন্ন পদবীর সৈনিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সেনানিবাসের মূল প্রবেশপথ সুশোভিত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুসজ্জিত করা হয়। জাতির পিতার স্মরণে স্ব স্ব ইউনিট বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করে। এছাড়া প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। একই সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গুইমারা, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি রিজিয়নেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার উপর আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
এদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনে আনন্দর‌্যালি ও শোভাযাত্রা বের করে মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালির উদ্বোধন করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। র‌্যালিটি শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউ মার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন হয়ে দারুল ফজল মার্কেটে এসে শেষ হয়। এছাড়া দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে সকালে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, মাইকযোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্প্রচার এবং আলোচনা সভার প্রারম্ভে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দূরদ্রষ্টা রাজনীতিক। তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই বুঝেছিলেন স্বাধীন ভূখণ্ড ছাড়া বাঙালির অধিকার আদায় ও পরিপূর্ণ মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। তাই তিনি ১৯৪৮ সাল থেকেই স্তরে স্তরে বাঙালির মুক্তি অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের হাজী সিদ্দিক আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. ইকবাল হাসান, মো. ইয়াকুব।
উত্তর জেল আওয়ামী লীগ : উত্তর জেল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির অস্তিত্বের সাথে মিশে আছেন। তিনি বাঙালি চেতনার মহাকবি। তাকে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই ভাবা যায় না। আমরা অতি সৌভাগ্যবান যে, তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। গতকাল উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষদিনে নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত আনন্দ মিছিলোত্তর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি মো আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কাশেম চিশতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবলু,নজরুল ইসলাম তালুকদার,সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলাউদ্দীন সাবেরী, জাফর আহমেদ, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, প্রদীপ চক্রবর্তী, নাজিম উদ্দীন তালুকদার, ডা. সেলিম উদ্দীন, ব্যারিস্টার প্রিয়াংকা আহসান, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ, উত্তর জেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদিকা এড. বাসন্তী প্রভা পালিত, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।
পরে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল নিউ মার্কেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে কোতোয়ালী, লালদিঘী, আন্দরকিল্লা মোড়, মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড়, জামাল খান হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বর গিয়ে শেষ হয়। এর আগে সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পূষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ : দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই ১৯৭১ সালে পূরণ হয়েছিল। বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শত শত বছর ধরে শৃংখিত বাঙালির মুক্তিদূত হিসাবে তিনি আমাদের স্বাধীনতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছিয়ে দিয়ে গেছেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস, সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব, সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. গালিব, দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক এড. কামেলা খানম রূপা, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক সুরেশ দাশ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড : চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভা প্রধান অতিথি ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হকের সভাপতিত্বে ও উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ নাথের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী, উপ-সচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কাসেম ফজলুল হক, সেকশন অফিসার বিপন বড়ুয়া, আ ফ ম সেলিম, জাহেদ হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ। সকাল ৯টায় বোর্ড চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগ : কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে কেক কেটে ও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক মাস্ক বিতরণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। বিকাল ৫টায় ডিসি হিল নজরুল স্কয়ারে উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগ নেতা জুবাইদুল আলম আশিকের সভাপতিত্বে ও নুর উদ্দিন রাকিবের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন জয়, হোসাইন আহমেদ রুবেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম, সহ-সভাপতি মনির ইসলাম, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ, মায়মুন উদ্দিন মামুন, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তৌহিদুল ইসলাম, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মো. হোসেন তুষার, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার চৌধুরী নিলয়, মামুনুর রশিদ রায়হান, ইমরান হোসেন সাজেন, জাবেদ আলম, শুভ দত্ত, মো. রুবেল হোসেন, জাবেদ আলম আলিফ, নিয়াজ উদ্দিন তামিম, আবছার উদ্দিন রতন।
বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগ ঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেক কাটা, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সংগঠনের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে ও থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন রনির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউনুস কোম্পানি, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেকক ভিপি শফিউল আজম বাহার, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল আলম পারভেজ, কায়সার মাহামুদ রাজু ,রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মাইনুল কামাল।
অরিজিন ফাউন্ডেশন : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন অরিজিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আন্দরকিল্লা জে.এম.সেন হলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি শিশু কিশোর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে অতিথি ছিলেন মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ার হাফিজ, অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সিনিয়র রিপোর্টার ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক সুজন কান্তি বিশ্বাস, মহানগর কৃষকলীগ নেতা সন্দীপন সরকার মান্না এবং অরিজিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা পরিচালক ও চট্টগ্রাম মহানগর কৃষকলীগ নেতা শিশির পারিয়াল। অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রতিযোগী চিত্রাংকনে অংশ গ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও প্রতিযোগীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন লায়ন অধ্যাপক মিল্টন কুমার নাথ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক নিয়ে উৎকণ্ঠা
পরবর্তী নিবন্ধগ্রেপ্তার দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ, দায় স্বীকার