ঢাকা এবং সিলেটে তীব্র কুয়াশায় নামতে না পেরে আন্তর্জাতিক রুটের দুইটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবশ্য কুয়াশা কমে যাওয়ার পর ফ্লাইট দুইটি ঢাকার শাহজালাল ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলে যায়।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মালয়েশিয়া থেকে ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে আসা বেসরকারি ইউএস বাংলার বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল। এরমাত্র কয়েক মিনিট পরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই থেকে ২৬২ জন যাত্রী নিয়ে আসা ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ঢাকা এবং সিলেটে তীব্র কুয়াশার কারণে ফ্লাইট দুইটি নামতে পারেনি বলে সূত্র জানিয়েছে।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান জানান, দুই বিমানবন্দরে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর ৮টা ৫০ মিনিটে সিলেটের এবং ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার ফ্লাইট দুইটি নিজ গন্তব্যে চলে গেছে। কুয়াশার কারণে ফ্লাইট না আসায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোও এক ঘণ্টা যাত্রা বিলম্বে যাত্রা করেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকায় দেশের অর্থ এবং ইমেজ রক্ষা পেয়েছে। অন্যথায় ঢাকা এবং সিলেটের ফ্লাইট দুইটিকে ব্যাংকক গিয়ে অবতরণ করতে হতো। এতে দেশের প্রচুর অর্থ ব্যয় হতো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।