চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সুফি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সুফিবাদ নিয়ে গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান মাইজভান্ডারী একাডেমির উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুফি সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয় যে, ২০০২ সালে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘মাইজভান্ডারী একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। একাডেমি এবার সপ্তমবারের মতো জাতীয় সুফি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনের বিষয় হচ্ছে- ‘উপমহাদেশের শান্তি সমপ্রীতি সুরক্ষায় দরবেশদের ভূমিকা: বর্তমান প্রেক্ষিত’। সম্মেলনে দুইদিনে মোট চারটি একাডেমিক সেশনে ১৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। উদ্বোধন ও সমাপনীতে সুফি সংগীতানুষ্ঠান হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। সমাপনী দিনে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম সিকান্দর খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ড. এম শমসের আলী, এসজেডএইচএম ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম এমডি জাফর, সুফি সম্মেলন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, সদস্য চবি’র আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ ও মুহাম্মদ নুর হোসাইন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুর্শিদুল আলম ও প্রভাষক মো. জিবরান আলম, মাইজভান্ডারী একাডেমির সদস্য সচিব অধ্যাপক জহুর উল আলম এবং ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।