রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াত খেতে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন পুলিশের সাবেক এক উপ-পরিদর্শক। উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পাগলা মামা মাজারের কাছে এই ঘটনা ঘটে৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার নাম আনোয়ার হোসেন (৫২)। তিনি ঝালকাটি জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বড়কবুর্তখালী গ্রামের মৃত কদম আলী জমাদারের ছেলে। এই ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. নুরুল আলম ওরপে বাচা ওরপে আবদুর রহিম ওরপে বাঘাইয়্যা (৪০)।
সে মরিয়মনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামের আলী হোসেন প্রকাশ সোনা মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী, মামলার এজহার ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মোটরসাইকেল যোগে হাটহাজারী থেকে ভাগিনাসহ রাঙ্গুনিয়ার লিচুবাগান আসেন ভুক্তভোগী।
সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাগিনাকে দোকানে বসিয়ে মরিয়মনগরের পাগলা মামার মাজার সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে এলে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর যখম করে। পরে নগদ ৩২ হাজার টাকাসহ একটি মানিব্যাগ, মোবাইল এবং ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেলসহ (ঢাকা মেট্রো-ল ৫০-৪৮৮২) গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ছিনতাইকারীর আঘাতে সে অজ্ঞান হয়ে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে বাঘাইয়্যাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন আরও জানান, তিনি পুলিশে দীর্ঘ ২৮ বছর চাকরি করে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছেলের মোটরসাইকেল যোগে ভাগিনাসহ রাঙ্গুনিয়া বেড়াতে এসেছিলেন।
মরিয়মনগর ইউনিয়নে ভাগিনার পূর্ব পরিচিত ব্যক্তির বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সময় এই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন তিনি।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুজন হাওলাদার জানান, গ্রেফতার বাঘাইয়্যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মারামারি, চুরি, ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক চারটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এজন্য গ্রেফতার ব্যক্তির রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।