চট্টগ্রামে নতুন করে গতকাল আরো ৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ডেঙ্গুতে রোকসানা খানম (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডেঙ্গু পরবর্তী বেশ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা রোকসানা খানম মারা যান বলে চিকিৎসকরা মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। যার অর্ধেকের বেশি আবার চলতি সেপ্টেম্বরে। এ মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। অপরদিকে চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ জন। এরমধ্যে নগরীতে ৮০৩ জন এবং উপজেলাতে ৫৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬১ জন।
গতকাল সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন ডেঙ্গু্ আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০ জন এবং নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১৪ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমছে। বিশেষ করে ফুলের টব ও ডাবের খোসা, গাড়ির টায়ারসহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বস্তুতে পানি জমার কারণে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা প্রজননে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীও বাড়ছে। তাই সবাইকে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখাসহ কোথাও যাতে তিনদিনের বেশি পানি না জমে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া রাতে ছাড়াও দিনের বেলায়ও মশারি টানাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ভর্তি হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৭ জন। এর মধ্যে মারা যায় ১০৭ জন। এছাড়া ২০২২ সালে মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৪৫ জনের মধ্যে মারা যান ৪১ জন, ২০২১ সালে আক্রান্ত হন ২২১ জন এবং মারা যান ৫ জন রোগী।