বোয়ালখালীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা তসলিম উদ্দিন তারেককে (২৩) গ্রেপ্তারের সময় পরিবারের বাঁধার মুখে পড়েন বোয়ালখালী থানা পুলিশ। এ সময় ঘরের পরিবারের সদস্যরা (নারী) নখ দিয়ে আঁচড়ে দিলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলো, এএসআই মো. শামীম ও কনস্টেবল মো.আরিফ। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মধ্যম কধুরখীল গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কধুরখীল ইউনিয়নের মধ্যম কধুরখীল গ্রামের দিল্লাল মিয়ার ছেলে।
এএসআই মো. শামীম বলেন, রাতে তারেককে গ্রেপ্তার করতে গেলে পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দেন এবং সে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা নারীরা আমাদের বাঁধার সম্মুখীন করেন ও নখ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ে দেন। বাঁধা অতিক্রম করে অবশেষে তারেককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-মামলার আসামি তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।