চট্টগ্রামে খুন করে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে নতুন সংসার, ৫ মাস পর ধরা

| রবিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৫ at ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে ব্যাটারি রিকশার এক চালককে খুন করে চলে যান নারায়ণগঞ্জে; সেখানে ঘাট শ্রমিকের কাজ নিয়ে পাতেন নতুন সংসার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি যুবকের, সাড়ে চার মাস পর ধরা পড়ে যান পুলিশের হাতে। গ্রেপ্তার যুবকের নাম তৌহিদুল ইসলাম (২৪)। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার বাগান বাজার এলাকায়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারি সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল তালতলা থেকে মঙ্গলবার তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করে ভূজপুর থানা পুলিশ। তিনি বলেন, তার দেওয়া তথ্যে ফেনীর মহিপালে একটি দোকান থেকে ব্যাটারি রিকশার চারটি ব্যাটারি ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বেলালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তৌহিদুল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার নিউ দাঁতমারা টি এস্টেট থেকে বেলাল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যাটারি রিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বেলাল ভূজপুর বারমাসিয়া আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, নিহত বেলালের রিকশা ও মোবাইল ফোনের হদিস পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলছেন, হত্যাকাণ্ডের পর তৌহিদুল রিকশাটি চালিয়ে ফেনীর মহিপাল এলাকায় চলে যায়। সেখানে তার ছোট ভাইকে রিকশাটি দিয়ে ফটিকছড়ি ফিরে আসে।

তৌহিদুল পুলিশকে জানায়, রিকশা থাকলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে পরদিন ফেনী গিয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে রিকশাটি নিয়ে নেয় এবং ব্যাটারি খুলে মহিপালের একটি দোকানে বিক্রি করে রিকশাটি ভেঙে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। তারেক আজিজ বলেন, রিকশার ব্যাটারি বিক্রি করে সে টাকা নিয়ে তৌহিদুল নারায়নগঞ্জে চলে যান এবং একটি ভবনে দারোয়ানের চাকরি নেন। কয়েক দিন পর সে চাকরি ছেড়ে ঘাট শ্রমিকের কাজ নেন এবং আরেকটি বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।

তৌহিদুলের বরাতে পুলিশ বলছে, বেলাল ও তৌহিদুল একে অপরের পরিচিত। বেলাল তক্ষক কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলে তৌহিদুল তাকে একটি চক্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বেলালের সন্দেহ ছিল, পরিচয় করিয়ে দেওয়া চক্রটি প্রতারক। তৌহিদুলের ভাষ্য, তক্ষক বেচাকেনার চক্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর বেলাল তাকে মারধর করেছিল। পুলিশের কাছে তৌহিদুল দাবি করে, বেলাল তাকে মারধর করায় সে মনে ক্ষোভ পুষে রাখে। পরিকল্পনামাফিক ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে দাঁতামারা চা বাগারে নিয়ে মদ খাওয়ায় এবং ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুলাই আন্দোলনকে দেশের সকল মানুষের আন্দোলন হিসেবে দেখাতে চেয়েছি
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন ভণ্ডুলের অপচেষ্টা রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে