প্রথম পর্যায়ে প্রকাশিত ফলাফলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো কলেজ পায়নি চট্টগ্রামের ৪০৮ জন জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। তবে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের দাবি আসন সংকট নেই, অতি নিশ্চতাই অল্প সংখ্যক কলেজ নির্বাচন করায় অনেক শিক্ষার্থী সিলেকশন হয়নি। মূলত, প্রত্যেক ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী পছন্দক্রম কমপক্ষে ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষার্থীর মেধা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোটা বিবেচনায় যেকোন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে মোট কলেজ রয়েছে ২৮৭টি। যার আসন সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার। প্রথম পর্যায়ে আবেদন করেছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৮১ জন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। এতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী। গত ২৩ জুন রাত ৮ টায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে ভর্তি জন্য কলেজ মনোনয়ন পাননি চট্টগ্রামের সর্বমোট ২ হাজার ২৮০ শিক্ষার্থী। এ বছর চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন। সেই হিসাবে কলেজে ভর্তির জন্য কোন আবেদেনই করেনি ৪ হাজার ৯৯৪ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক আজাদীকে বলেন, আমাদের আসন সংকট নেই। নিজেরদের মধ্যে অতি নিশ্চতাই অনেক শিক্ষার্থী অল্প কলেজে আবেদন করেছে বলে তারা কলেজ পায়নি। একজন শিক্ষার্থী দশটি করে কলেজে আবেদন করার কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থী দেখা যায় ৫/৬ টি কলেজের জন্য আবেদন করে। ফলে ঐ সব কলেজে প্রতিযোগিতা থাকার কারণে অনেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য কোনো কলেজ পায়নি। যেসব শিক্ষার্থীরা কোনো কলেজ পায়নি তারা দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করতে পারবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনে শিক্ষার্থীরা যেতে দশটি কলেজে চয়েসের তালিকায় রাখে। তাহলে কেউ সিলেকশন না হয়েছে থাকবে না। অপরদিকে সকল আবেদন অটো মাইগ্রেশানযুক্ত।পছন্দক্রমের উপরের কলেজে আসন শূন্য হলে মেধার ভিত্তিতে অটোমাইগ্রেশন হবে। অটোমাইগ্রেশন না চাইলে নিশ্চায়নের সময় তা বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করার স্লাইডিং বার অপশন আছে। এই অপশনে অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করলে যে কলেজে নিশ্চায়ন করেছে সেটাতেই থাকবে। পছন্দক্রমের উপরের কলেজে সুযোগ হলেও মাইগ্রেশন হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধ করে নিশ্চায়ন না করলে ভর্তির আবেদন ও সিলেকশন বাতিল হবে। সে ক্ষেত্রে ২য় পর্যায়ে ফি দিয়ে পুনরায় আবেদন করতে হবে। যারা কোটার প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কোটায় আবেদন করে সিলেকশন পেয়েছে তারা নিশ্চায়ন না করে ২য় পর্যায়ে আবেদন করা উত্তম। কারণ কোটার স্বপক্ষে প্রমাণক না থাকলে কলেজে ভর্তির সময় অযোগ্য বিবেচিত হবে।
প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২৯ জুন রাত ৮ টার মধ্যে ৩৩৫ টাকা নিশ্চায়ন ফি পরিশোধ করে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৯–১০ জুলাই আবেদন গ্রহণ করা হবে তৃতীয় পর্যায়ের। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং ১২ জুলাই রাত ৮টায় তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ও দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ১৩ থেকে ১৪ জুলাই। একাদশে শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৫ জুলাই থেকে, চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই থেকে।