মাধ্যমিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবার বইয়ের মোট চাহিদা দেড় কোটির বেশি (১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি)। তবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৮টি বই পাওয়া গেছে। যা মোট চাহিদার ২.১৩ শতাংশ। যদিও বই আসতে শুরু করেছে জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী বলছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে ১ জানুয়ারি। সে হিসেবে এখনো এক মাসের বেশি সময় হাতে রয়েছে। বই আসা শুরু হয়েছে। এনসিটিবি বিষয়টি তদারকি করছে। জানুয়ারির আগেই সব বই পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় এগারশ (১০৯৪টি)। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৭২৭টি। স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংখ্যা ৫২টি। আর মাদ্রাসা ৩১৫টি। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের বাইরে ১০৬টি কলেজ রয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এই সংখ্যা মাউশির ইএমআইএস সেল থেকে পাওয়া। ইএমআইএস সেলের বাইরে অল্প সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী।
জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের তথ্য মতে, সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৮ জন। এসব শিক্ষার্থীর জন্য এবার বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার ২২৯টি। কারিগরি শিক্ষায় ১৫ হাজার ৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৬টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। আর মাদ্রাসা পর্যায়ে (ইবতেদায়ী ও দাখিল) মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৭ জন। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে এবার বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৮টি।
সবমিলিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন শিক্ষার্থীর জন্য মোট ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।
এর মাঝে গত সোমবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৮টি বই পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত বইয়ের মধ্যে সাধারণ পর্যায়ের ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৮টি এবং কারিগরি শিক্ষার ৮৭ হাজার ৬০০টি বই রয়েছে। মাদ্রাসার কোনো বই আসেনি। তাছাড়া এবার (২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে) নতুন কারিকুলাম শুরু হতে যাওয়া ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির কোন বইও এখনো পর্যন্ত আসেনি। এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী বলছেন, এখন কিছু কিছু বই আসছে। যা সরাসরি থানা/উপজেলার স্টোর রুমে পৌঁছে যাচ্ছে। সেখান থেকে স্কুলে-স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ সব বই চলে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার।