চট্টগ্রামে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ক্লাব-কনভেনশন হলে একশর বেশি অতিথি নয় : জেলা প্রশাসক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ মার্চ, ২০২১ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসনের জেএম শাখা থেকে বিষয়টি জানা যায়। জেএম শাখা সূত্রে জানা যায়- ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট বিষয়ে আপাতত কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই সিদ্ধান্তের কথা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, উপজলো নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে একশ’র অধিক অতিথির উপস্থিতি নিষেধ করার পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ধারণ ক্ষমতার চার ভাগের এক ভাগের বেশি অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করা যাবে না। প্রবেশের পূর্বে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কারসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে (ন্যূনতম ৩ ফুট)। অতিথিকে অবশ্যই মাস্ক পরে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ ও বাহিরের জন্য আলাদা পথ করতে হবে। নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ ১৯৮৪ সালের অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৬০ সালের দণ্ডবিধি আইন ও ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে গতকাল রোববার সকালে নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। এসময় বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে। তাই ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট বিষয়ে আমরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচলে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরুত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো একশর বেশি অতিথির জমায়েত করতে পারবে না। এছাড়া সভা-সমাবেশ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ, ওরশ, মিলাদ মাহফিল, মহোৎসব ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে মেবাইল কোর্ট অভিযানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং ইতোমধ্যে জোরদার করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩ জানুয়ারির পর চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার
পরবর্তী নিবন্ধচসিকে আজ প্যানেল মেয়র নির্বাচন