চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা করতে চাই : জেলা প্রশাসক

মেয়েদের জন্য নির্ধারিত স্থানে খেলার মাঠ করার পরিকল্পনা আছে

| বৃহস্পতিবার , ৯ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, নারী জাতির ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নারী। নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য বিশ্বের কাছে তিনি এখন রোল মডেল। দেশের প্রতিটি আন্দোলনসংগ্রামে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা করতে চাই। এজন্য ১৫ উপজেলা থেকে ৩টি করে আইডিয়া বা ধারণা ও মহানগর থেকে ৫টিসহ মোট ৫০টি আইডিয়া নেয়া হবে। যাদের সঠিক ধারণা ও পরিকল্পনায় স্মার্ট জেলা হবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।

গতকাল চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভা ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য নিরসন, শেখ হাসিনার বারতা, নারীপুরুষ সমতা’। আলোচনা সভার পূর্বে শিশু একাডেমির মাঠে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পুরো সমাজকে নাড়া দিয়েছে। চট্টগ্রামে মেয়েদের জন্য আলাদা কোন খেলার মাঠ নেই। তাদেরকে মাঠ দিতে না পারলে খেলবে কোথায় ? ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করতে নির্ধারিত স্থানে খেলার মাঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে খেলার মাঠ করার পাশাপাশি মাঠের পাশে বিনোদনের আলাদা মঞ্চ তৈরী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদেশে নারীপুরুষের সমতা আছে বলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে ও সমতার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে জাতীয় অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে। নারীরা নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারলে সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে।

ডিসি বলেন, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান অনেক বেশি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও নারীদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। নারীরা কখনো পুরুষদের প্রতিদ্বন্দ্বি নয়। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীরা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এখন সব পেশায় সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে এমন কোন পেশা নেই যেখানে মেয়েরা কাজ করতে পারবে না। বর্তমান সরকার সব জায়গায় নারীপুরুষের সমান সুযোগসুবিধার সৃষ্টি করে রেখেছেন। মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফের সভাপতিত্বে ও নারী কর্মী জান্নাতুল ফেরদাউসের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাধবী বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ্‌ উদ্দিন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাইলমার প্রধান নির্বাহী নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার জনি রোজারিও। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফারহানা ইদ্রিছ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকথন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধআজাদী সম্পাদকের সাথে খলিফাপট্টি বণিক কল্যাণ সমিতির সৌজন্য সাক্ষাত