চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে

মা ও শিশু হাসপাতালের অনুষ্ঠানে মেয়র

| মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগে ৩৩তম আন্তর্জাতিক ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ডা. মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু। এ উপলক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদা আক্তার লুবনা। বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, ইঞ্জি. লায়ন মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, . মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, প্রফেসর ডা. এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, প্রফেসর ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, প্রফেসর ডা. ওয়াজির আহমেদ, ডা. সারোয়ার আলম, সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসেম প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এই হাসপাতালের সাথে আমি অনেকদিন ধরে সম্পৃক্ত আছি। দেশে বেসরকারী খাতে চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসা শিক্ষায় এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এই হাসপাতালের বিশেষায়িত চিকিৎসা সমূহ অত্যন্ত মানসম্পন্ন। বিশেষ করে আপনারা যে ক্যান্সার ইনস্টিটিউট করেছেন এ ধরনের প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে আর নেই। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সাথে ডা. এ এফ এম ইউসুফ, ইঞ্জি. এল কে সিদ্দিকী, প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিম, প্রফেসর ডা. এম নূরউন নবী, প্রফেসর ডা. নুরজাহান ভ্থঁইয়া, প্রফেসর ডা. এম এ তাহের খানসহ অনেকের অবদান রয়েছে। তিনি তাঁদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। মেয়র বলেন, আমি চট্টগ্রাম নগরীকে একটি ক্লিন সিটি, গ্রীন সিটি ও হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে এটি সম্ভব। আমি চাইল্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে শিশুদের সচেতন করে তাদের মাধ্যমে তাদের পিতামাতা ও পরিবারের লোকজনকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আমাদের অসচেতনতার জন্য নগরীর খালবিল, নালানর্দমা সব ভরাট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি হাসপাতালের পাশে সিটি কর্পোরেশনের পার্কটিকে খেলার মাঠ হিসেবে জুলাই ছাত্র আন্দোলনে প্রথম শহীদ ওয়াসিমের নামে নামকরণ করার ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি হাসপাতালের নবনির্মিত শিশু স্বাস্থ্য বহির্বিভাগ ও এএমইউ উদ্বোধন করেন এবং অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহিম হাসান রেজা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে নদী ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব
পরবর্তী নিবন্ধমুক্ত কন্ঠ ক্লাবের সভা অনুষ্ঠিত