এইচএসসি পরীক্ষায় নিজ সন্তানের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকীরা হলেন, শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার, নারায়ন চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ ও শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফলাফল প্রকাশের আগে যে কোনো সময় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি করে নক্ষত্র দেবনাথের ফলাফল পরিবর্তন করেন। তাকে জিপিএ ফাইভ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। নক্ষত্র ছাড়া বাকি তিনজন জালিয়াতি সংঘটনের সময় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে স্ব স্ব পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
জানা গেছে, ফলাফল ঘোষণার পর কে বা কারা নক্ষত্রের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলে তার মা বনশ্রী দেবনাথ নগরীর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর ফলে বিতর্ক আরও জোরালো হয়। এ অবস্থায় গত বছর জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্তে নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য নারায়ণের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া ও নক্ষত্রের ফলাফল বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে জালিয়াতির দায়ে মাউশি’র চট্টগ্রামের পরিচালক পদ থেকে নারায়ণকে ওএসডি করা হয়। তার ছেলের ফলাফলও বাতিল করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।