ক্যাম্পাস আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ২১০০ একরের বিশাল এই ক্যাম্পাসে ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক স্থাপনা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরেও একটি সুইমিং পুল আলোর মুখ দেখেনি। সুইমিং পুল মূলত সাঁতার অনুশীলন ও সাঁতার প্রতিযোগিতার কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইমিং পুল না থাকায় বর্তমানে সাঁতারুদের সাঁতার অনুশীলন করতে হয় দক্ষিণ ক্যাম্পাসের একটি পুকুরে। পুকুরটি ক্যাম্পাসে গোল পুকুর নামে পরিচিত। পুকুরটি খোলামেলা পরিবেশে হওয়ায় শুকনো পাতা আর খড়খুটো প্রতিনিয়তই পড়তে থাকে। একসময় শুকনো পাতা ও খড়খুটো পঁচে পানি দূষিত হয়ে পড়ে। ফলে এ দূষিত পানিতে সাঁতার অনুশীলন করতে গিয়ে সাঁতারুরা চর্মরোগে আক্রান্ত হন। তাছাড়া, সাঁতার অনুশীলন করতে গিয়ে পুকুরের তলদেশে ভাঙা ডালপালা কিংবা কাঁচের আঘাতে অনেকের আহত হওয়ার ঘটনাও কম ঘটেনি। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে পুকুরটির পানি শুকিয়ে যায়। পানির অভাবে সাঁতার অনুশীলন করা তখন দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাঁতার দলের একাধিক স্বর্ণপদকসহ টানা ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। এসব অর্জনের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুইমিং পুল নির্মাণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। একটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুইমিং পুল নির্মাণের দাবি সাঁতারুদের দীর্ঘ দিনের। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি সুইমিং পুল নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
মো. আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।