চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে চরমোনাই পীর রাজনীতি হোক গণমানুষের কল্যাণে

| শনিবার , ২৮ মে, ২০২২ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আজ দেশের সাধারণ নাগরিকের কোনো অধিকার নেই, কোনো সম্মান নেই। সব অধিকার ভোগ করছে ক্ষমতাসীন এবং তাদের দোসররা। আওয়ামী লীগের সবাই দুর্নীতিবাজ নয়, বিএনপির মধ্যেও ভালো মানুষ আছে। আমরা দেশের সকল নীতিবান, ভালো মানুষ ও আদর্শ নাগরিকদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। সংঘাতের নোংরা রাজনীতির অবসান চাই। তাই আগামী নির্বাচন দলের জন্য নয়; সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর দেশের জন্য হোক। আমরা স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ক্ষমতাসীনরা আগামীতেও জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চায়। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না বরং আবারো ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। আমরা বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সঙ্কট দূর হবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আউটার স্টেডিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন। দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, আবদুর রহমান, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সেলিম মাহমুদ, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল করীম আকরাম, আবুল কাশেম মাতবর, আল মুহাম্মদ ইকবালসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন জেলা নেতৃবৃন্দ। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, প্রাচ্যের রাণী খ্যাত এই বন্দরনগরী নানা সমস্যায় জর্জরিত। কোনো কোনো সড়ক প্রশস্ত করা হলেও কাজ অসমাপ্ত। ঢাকায় যেখানে এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয় না, সেখানে চট্টগ্রামে চার-পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। যানজটেও নগরবাসীকে প্রায়ই নাকাল হতে হয়। চট্টগ্রামের কার্যকর উন্নয়নে সরকারকে অবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ শুরু
পরবর্তী নিবন্ধপার্কভিউ হাসপাতালে প্রথম এন্ডোস্কোপিক ব্রেইন টিউমার অপারেশন