নারায়ণগঞ্জের আদমজি ইপিজেডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড চীন থেকে ফেব্রিক্স ঘোষণায় কন্টেনার ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ আমদানি করে। মিথ্যা ঘোষণায় মদ আমদানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে কায়িক পরীক্ষা শেষে বিষয়টি জানা গেছে। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা এনসিটি ইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেনার জব্দ করে। পরবর্তীতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা কন্টেনারে ১ হাজার ১১৪ কার্টনে ১১টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়। মদের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার।
জব্দ করা মদের শুল্কায়নযুক্ত মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। তবে এর সাথে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা। মদের চালানটি খালাসের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের গোলবাগ আবাসিক এলাকার হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। যার নম্বর–৩১৭৪১০। বিল অব এন্ট্রি জমার দেয়ার প্রায় ৯ মাস পর খালাস নিতে মদ আমদানির বিষয়টি উদঘাটিত হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা গত বুধবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেনার ভর্তি মদের চালানটি জব্দ করে। পরবর্তীতে কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, আমদানিকারক ১১ ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ নিয়ে আসে, যার পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার। এসব মদ আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর আগে ২৭ জুন ওয়াটার পিউরিফায়ার মেশিনের ঘোষণায় ৫০ হাজার শলাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট আমদানি করে এক অসাধু আমদানিকারক।