চট্টগ্রাম বন্দরে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেল চালু করার ওপর জোর

চেয়ারম্যানের সাথে বিজিএমইএ নেতাদের মতবিনিময়

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের সাথে মতবিনিময় করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতারা। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নেতৃত্ব দেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান।

সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান বলেন, পোশাক শিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে (লীড টাইম) রপ্তানি নিশ্চিতকরণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেনারের ওপর ৪ গুণ হারে স্টোররেন্ট আদায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ বৃদ্ধি, জাহাজ বার্থিংয়ে বিলম্বিত হওয়া, পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের চলমান সমস্যা সমূহ, এলসিএল পণ্য খালাসে বিলম্বিত হওয়া, ইয়ার্ডে হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট স্বল্পতা, বেটার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেল চালু করার বিষয়ের ওপর জোর দেন। বিজিএমইএ’র সহসভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী বলেন, মায়াসর্ক লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতি মাসে প্রায় চারটি জাহাজ আনছে, যার এলসিএল কন্টেনার আনস্টাফিংয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি জাহাজীকরণের ব্যাঘাত, এয়ার শিপমেন্টের আশংকাসহ অতিরিক্ত ব্যয় হয়।

বিজিএমইএ’র পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, চব্বিশের ৫ই আগস্ট পরবর্তী দুঃসময়ের মধ্যেও তীক্ষ্ণ নজরদারি ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটায় বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সহ পরিচালনা পর্ষদকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানিরপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদন করছে। তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন, সাইবার সিকিউরিটিসহ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএ সহ সকল স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেনবিজিএমইএ’র পরিচালক সাকিফ আহমেদ সালাম, সাইফ উল্লাহ মনসুর, এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস্‌ বিষয়ক উপদেষ্টা এ.এম. মাহাবুব চৌধুরী, পোর্ট বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কোচেয়ারম্যান রায়ান শামস্‌ ও বিজিএমইএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষেসদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক পরিবহন এনামুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাড়ে ৯৪ লাখ টাকার খেজুরের প্রকাশ্য নিলাম ১৮ আগস্ট
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে এড়িয়ে চলতে হবে যে সব সড়ক