মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা আক্রমণ ছেড়ে সম্মুখ রণাঙ্গনে যোগ দিয়ে যুদ্ধের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী। এদিন মুক্তিবাহিনী উত্তরে ফটিকছড়ি ও রাউজান থানা এবং দক্ষিণে আনোয়ারার অধিকাংশ স্থান তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের পথে পথে মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা হানাদারদের সঙ্গে খণ্ড খণ্ড ভাবে সম্মুখযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সেক্টরে মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে আক্রমণ করলে হানাদার বাহিনী আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এলেও পাকিস্তানি সৈন্যরা মুক্তিবাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ করে এবং আখাউড়া রেলস্টেশনে তখনো চলছে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রচণ্ড সম্মুখযুদ্ধ– পাকিস্তানিরা এই যুদ্ধে ট্যাংক ব্যবহার করেছে। সম্মুখযুদ্ধে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকা এবং সঙ্গে সঙ্গে আখাউড়া সংলগ্ন আগরতলা শহরও কেঁপে ওঠে। কসবা থেকে মুকুন্দপুর আর আখাউড়া থেকে উজানিসার পর্যন্ত তিন দিনের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানিদের ধরাশায়ী করে ফেলে। কুমিল্লা–সিলেট সিএন্ডবি রোডের সংযোগ মুক্তিযোদ্ধারা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে এবং চট্টগ্রাম–কুমিল্লা–ঢাকা রেল যোগাযোগও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তিন দিনের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সৈন্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং অনেক পাকিস্তানি সৈন্য হতাহত হয়েছে।












