চট্টগ্রাম টেস্টে বড় জয়ের বিকল্প দেখেন না হাবিবুল বাশার

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের এমন পরাজয় পোড়াচ্ছে সাবেক এই অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে। জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের ব্যবধানটা বুঝিয়ে দিতে তাই পরের টেস্টে ভূমিধস বিজয়ের বিকল্প দেখেন না তিনি। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে কোনো সংস্করণে ফেভারিট বাংলাদেশ। তবে সিলেট টেস্টের পারফরম্যান্সে দেখা যায়নি সেই ছাপ। ম্যাচের বেশি ভাগ সময়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকেই মনে হয়েছে ‘আন্ডারডগ।’ হাবিবুল একটি পরাজয় দিয়েই বিচার করতে চান না। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে চেনা বাংলাদেশকে খুঁজে পাননি তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে উত্তরসূরীদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ দিলেন ৫০ টেস্ট খেলা সাবেক ব্যাটসম্যান। ‘একটা ম্যাচ দিয়ে বলতে চাই না, সবকিছু বদলে গেছে। এই ম্যাচ আমরা বাজে খেলেছি। শুধু বাজে নয়, খুব বাজে খেলেছি। এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী খেলতে পারিনি। পুরো ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক হতাশার ছিল। তবে এর মানে এই না যে, অনেক কিছু বদলে গেছে। কোনোভাবেই এই ম্যাচের পারফরম্যান্সের সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে মেলাতে পারছি না। এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। এই দলটা পাকিস্তানকে তাদের মাঠে হারিয়ে এসেছে। তারা দেশে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমনভাবে হেরে যাবে, একদমই অপ্রত্যাশিত। আমরা খুব খারাপ খেলেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের খুব ভালোভাবে ফিরে আসা উচিত।’ সিলেটে ব্যাটেবলে নতুন বলের পারফরম্যান্স ভুগিয়েছে দলকে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা পারেনি দলকে ভালো শুরু এনে দিতে। পেসাররা পারেননি কোনো ইনিংসেই দ্রুত উইকেট নিতে। তবে টপ অর্ডারের ভোগান্তিই এখন সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। প্রায় তিন বছর ধরে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পায় না বাংলাদেশ। সবশেষ ১৩ ইনিংসে পঞ্চাশ রানের জুটিও গড়তে পারেননি ওপেনাররা। ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে তাই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদেরই বড় দায়িত্ব নিতে হবে, মনে করেন হাবিবুল। ‘চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলতে হবে। দাপুটে জয় পেতে হবে। আর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওপর থেকে রান আসতে হবে। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখন রান করার পালা। আপনাকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জ যখন আসছে, আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি। অথবা খুব ভালোভাবে চ্যালেঞ্জটার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি না। টেস্ট ম্যাচে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তারাই তো ভালো দল, যারা এই চ্যালেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসবে।’ সিরিজ জয়ের সুযোগ এখন আর নেই বাংলাদেশের। পরের টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করলেও আসলে সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থই হয়ে থাকবে। তবে বিশাল ব্যবধানে জিততে পারলে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি মিলতে পারে, বলছেন বিসিবির ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর হাবিবুল। ‘আমরা যেটা বলি যে, আমরা ভালো দল, এটা শুধু বললেই হবে না। নিজেদেরই মাঠে প্রমাণ করতে হবে। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর কোনো অপশন নেই। এই জিম্বাবুয়ে দলটাও খুব খারাপ দল নয়। কিন্তু বাকি দলগুলির চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল। নিজেদের জন্যই এখন ভালো করা ছাড়া দ্বিতীয় পথ নেই। অনেক বড় ব্যবধানে জিতে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের সঙ্গে শক্তির পার্থক্যটা কত। এর জন্য আমার মনে হয় না, খুব বেশি বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। ভালো খেলতে হবে, জিততে হবে। আমরা যে ভালো দল, মাঠেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটাই সব কথার শেষ কথা।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাঁতারু রাফির স্বর্ণজয়
পরবর্তী নিবন্ধফিক্সিং সন্দেহে সবার সামনে নাম প্রকাশ মানতে পারছেন না তামিম