জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধে দৃশ্যমান চোখের ক্রটি নির্ণয়ে পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাথে জার্মান এনজিও সংস্থা ‘কাকস্’ ও রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রালের নতুন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে জার্মান এনজিও কাকস্’র মি. গ্রিগর কনিগ, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. সোমা রানী রায় ও রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশীর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতালের একাডেমিক কর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ওসমানী,চীফ কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী, কনসাটেন্ট ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ফিন্ড সুপার ভাইজার বোরহান উদ্দিন, জুনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসকান্দার হোসেন ওয়াসিম প্রমূখ। এ সময় জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি তার সূচনালগ্ন থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে চোখের রোগের স্ক্যানিং করে রোগ নির্ণয় করে আসছে। এবার জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের (ইপিআই টিকা প্রাপ্তকারী) টিকাদানকারীর মাধ্যমে চোখ পরীক্ষা করে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জার্মান এনজিও কাকস্ এর অর্থায়নে ‘‘টিকাদানকারীর মাধ্যমে শিশুর চক্ষু পরীক্ষা সুস্থ জীবন ও সুস্থ দৃষ্টির প্রতিশ্রুতি” নামে নতুন প্রকল্পটি কাজ শুরু হবে।
৮৪ লক্ষ টাকার দুই বছর মেয়াদী প্রকল্পটি আগামী মাসের জুলাই থেকে শুরু হবে। প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল এবং সমন্বয়ক হিসেবে তদারকি করবেন রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী সেন্ট্রাল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।