সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার সময় পুরো চট্টগ্রাম ঝাপিয়ে পড়েছিল। সিলেট সহ অন্যান্য বন্যার খবর প্রয়োজনের চাইতেও বেশি করে মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করা হয়। এর চাইতেও মানবিক বিপর্জয়ে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের পত্র–পত্রিকা এবং জাতীয় পর্যায়ের এক/ দুটা মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ছাড়া বেশিরভাগ মিডিয়া চুপ। আজ এক সপ্তাহ হতে চলল আপনাদের পাশে বাংলাদেশের মানচিত্রে যে চট্টগ্রাম আছে জানেন আপনারা? মন্ত্রীসভায় কি আলোচনা হয় চট্টগ্রামের মানুষগুলোর কথা? বিকাশে যারা টাকা তুলেন আপনাদের মনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডায় কি চট্টগ্রামের নাম টা একটিবারের জন্য আসে না?
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। স্বাধীনতার পরে এ ধরনের বন্যা দেখেনি এখানকার মানুষ। বিদ্যুৎ সাব স্টেশন পানিতে ডুবে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। পানিবন্দী মানুষের সাথে বন্ধ হয়ে গেছে স্বজনদের যোগাযোগ। গৃহবন্দী হয়ে পড়া মানুষ একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে কয়েক লাখ মানুষ। সরকারি–বেসরকারি কোনো ধরনের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেনি বলে দাবি বন্যা কবলিত মানুষদের। মানুষগুলো মরে যাচ্ছে, কবর বা জানাজা দিতে পারছে না। আপনাদের হেলিকপ্টারগুলো কই! মহান আল্লাহ রক্ষা করবে চট্টগ্রাম কে।