নতুন কাস্টমস আইন–২০২৩ এর ৮২ ধারা বাতিলের দাবিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন সারা দেশের সকল শুল্ক স্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসেও আজ দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, নতুন কাস্টমস আইন–২০২৩ এর ৮২ ধারাতে মিথ্যা ঘোষণা কিংবা ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সিএন্ডএফ এজেন্টকেও দায়ী করা হয়েছে। আমরা সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমদানিকারকের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। পণ্যের শুল্কায়নের কাস্টমসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করি। এখন কোনো আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা কিংবা ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য আনলে সেটি তো আমাদের জানার কথা না। কারণ কন্টেনারের ভিতর কি আছে, কাস্টমস যে রকম জানে না, ঠিক একইভাবে আমরাও জানি না। এখানে সিএন্ডএফ এজেন্টসহ দায়ী থাকবে বলে নতুন কাস্টমস আইনে যে ধারা যুক্ত করা হয়েছে, সেটি অযৌক্তিক। তাই আমরা এই ধারাটি বাতিলের আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কাস্টমস আইন–২০২৩ এর ৮২ ধারায় বলা হয়েছে– আমদানি বা রপ্তানির জন্য পণ্য ঘোষণাকারী বা যার পক্ষে ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে, এমন ব্যক্তি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন। (ক) পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা (খ) উপস্থাপিত যে কোনো দলিলের সত্যতা (গ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রদেয় সকল শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ এবং প্রাসঙ্গিক কাস্টমস পদ্ধতির অধীন সংশ্লিষ্ট পণ্য ন্যস্ত করা সম্পর্কিত অন্যান্য সকল বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন (ঘ) যথাযথ কর্মকর্তার অনুরোধে এবং উক্ত কর্মকর্তা কর্র্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কেনো উপযুক্ত ফরমে চাহিদামতো সকল দলিল ও তথ্য দাখিল এবং কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন বা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান, তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কেনো এজেন্ট কর্তৃক উক্ত ঘোষণা প্রদান করার ক্ষেত্রে, উক্ত এজেন্টও উপরোক্ত দফা (ক), (খা) ও (ঘ) তে উল্লেখিত বাধ্যবাধকতার জন্য দায়ী থাকবেন।