স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে গতকাল বিচার শুরু করেছেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন।
তখন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়। তাতে বলা হয়, মিতু খুনের মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসামিরা চট্টগ্রাম কারাগারে থাকলেই ভালো হয়। বিচারকাজ চলাকালীন আদালতে হাজিরে সুবিধা হবে। এ জন্য বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার আদেশ দেওয়া হোক। একপর্যায়ে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। তখন কাঠগড়ায় থাকা বাবুল আক্তার বলে উঠেন, ‘আমার বক্তব্য আছে। চট্টগ্রামে আমি দীর্ঘদিন দায়িত্বরত ছিলাম। জঙ্গিসহ নানা অপরাধী গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে অনেকের সাজাও হয়েছে। এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম কারাগারে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে অনিরাপদবোধ করছি। খারাপ কিছু হতে পারে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যেখানে রাখা হয় সেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামিদেরও রাখা হয়। আমার তো মৃত্যুদণ্ড হয়নি’। এসব কথা বলতে বলতে একসময় কেঁদে ফেলেন দেশের আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।
আদালতের উদ্যেশ্যে কাঁদতে কাঁদতে বাবুল বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকার সময় আমাকে ওষুধ খেতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া সেখানে আরো অনেক সমস্যা রয়েছে। একপর্যায়ে আদালত বলেন, কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তা জেলার বা কোর্টের নজরে আনার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১২ মে মিতুর বাবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর শুরুতে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন বাবুল আক্তার। সেখান থেকে ২৯ মে তাকে ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়। অবস্থানগত কারণে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই বাবুলকে ফেনী কারাগারে পাঠান হয়েছে বলে তখন চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন।