চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রবাল ও সৈকত চলবে কাল থেকে

আন্তঃনগর এ দুটি ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৪০ টাকা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামকক্সবাজার রুটে আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে প্রবাল ও সৈকত এক্সপ্রেস নামে দুইজোড়া আন্তঃনগর। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া (শোভন চেয়ার) ধরা হয়েছে ১৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ (প্রথম শ্রেণি) করা হয়েছে ৩৪০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী ১০ দিন আগে (গত ২৩ জানুয়ারি থেকে) থেকে ট্রেন দুটির টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে সৈকত এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বলেন, সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে প্রবাল এক্সপ্রেস। সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস নন এসি হলেও এই দুটি ট্রেন আন্তঃনগর। ট্রেন দুটিতে খাবারের গাড়ি রয়েছে বলে জানান তিনি।

এই অঞ্চলের মানুষ এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে এই রুটে চলাচলরত স্পেশাল ট্রেনটিকে ২ জোড়া করে (দিনে চট্টগ্রাম থেকে দুইবার যাবে এবং কক্সবাজার থেকে দুইবার চট্টগ্রাম আসবে) চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকার যাত্রী এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য চট্টগ্রামকক্সবাজারচট্টগ্রাম রুটে ২ জোড়া ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি হলো ৮২১/৮২৪ (সৈকত এক্সপ্রেস) ও ৮২২/৮২৩ (প্রবাল এক্সপ্রেস)। ট্রেন দুটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে সোমবার।

এ সিদ্ধান্তে খুশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকরা।

কক্সবাজার যেতে ভাড়া কত : চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যেতে ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া নিধারণ করা হয়েছে (শোভন চেয়ার) ১৮৫ টাকা আর সর্বোচ্চ (প্রথম শ্রেণি) ৩৪০ টাকা। নতুন ট্রেনে ভাড়া তুলনামূলকভাবে অনেক সহনীয়, অনেক ক্ষেত্রে বাসের তুলনায় অর্ধেকের কম।

ট্রেনের সময়সূচি : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৈকত এক্সপ্রেস প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে। কক্সবাজার পৌঁছাবে ৯টা ৫৫ মিনিটে। সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে।

অন্যদিকে প্রবাল এক্সপ্রেস থামবে ষোলশহর, গোমদন্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে। প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে।

চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার রুটের পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যেও ট্রেনের চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রামকক্সবাজার রুটে দৈনিক গড়ে ৪০ হাজার মানুষ কক্সবাজারে যাতায়াত করেন। এর মধ্যে ট্রেনে যদি ৮ থেকে ১০হাজার মানুষও যাতায়াত করতে পারে তাহলে এটি সবচেয়ে লাভজনক রুটে পরিণত হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কে গাড়ির চেয়ে রেলের ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় এই রুটে ট্রেন জনপ্রিয়তা পায়।

রেলওয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর পর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৩ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এতে রেলের আয় হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিইসিতে ঝটিকা মিছিল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪জন গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের নিয়ে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে