চট্টগ্রাম ওয়াসায় স্মার্ট মিটার

আগামী জুনে নগরের তিন এলাকায় বসছে ৩ হাজার মিটার সিস্টেম লস কমাতে এই উদ্যোগ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৩ মার্চ, ২০২২ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

সিস্টেম লস বা নন রেভিনিউ ওয়াটারের নামে ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি অপচয় হচ্ছে। পানির উৎপাদন যেমন বাড়ছে সাথে বিপুল পরিমাণ অপচয় বা সিস্টেম লসও হচ্ছে। সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে পিডিবি, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি সবাই বিলিং সিস্টেমে আধুনিক প্রযুক্তিতে চলে গেছে। প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে বিল আদায় করছে। অথচ চট্টগ্রাম ওয়াসা বিশাল বিশাল প্রকল্প গ্রহণ করলেও এতদিন সিস্টেম লস কমানোর জন্য প্রিপেইড মিটারে যেতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অটোমেশনে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আগামী জুনে নগরীর তিনটি এলাকায় বসছে ৩ হাজার স্মার্ট মিটার। পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই মিটারগুলো বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী। আগামী জুনে মেহেদীবাগ-গোলপাহাড় এলাকায় বসবে এই ৩ হাজার স্মার্ট মিটার। পাইলট প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে নগরীর সব গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় আনা হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদিত পানির সিস্টেম লসের মাত্রা না কমলেও জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন দাতা সংস্থার ঋণের কিস্তি। প্রথম পর্যায়ে আগামী ১ জুলাই থেকে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রথম প্রকল্প এবং গভীর নলকূপসহ তিনটি প্রকল্পের ঋণের জন্য বছরে পরিশোধ করতে হবে ৩১ কোটি টাকা। এরপর পর্যায়ক্রমে শুরু হবে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ দ্বিতীয় প্রকল্প, মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং নগরীতে ৫শ কিলোমিটার নতুন পাইপ লাইন প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলোর ঋণের কিস্তিও। এখন চট্টগ্রাম ওয়াসা দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। কিন্তু এই উৎপাদিত পানির ২৮ থেকে ২৯ শতাংশই সিস্টেম লসের নামে অপচয় হচ্ছে। বিদেশি ঋণের টাকায় এসব প্রকল্পের উৎপাদিত পানির একটি বড় অংশ অপচয় হওয়ার কারণে দাতা সংস্থার ঋণের কিস্তি পরিশোধে আগামীতে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে হিমশিম খেতে হবে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার দুজন বোর্ড সদস্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাঁটু পানিতে মিলল ১৪ কেজি ওজনের চিতল
পরবর্তী নিবন্ধআধিপত্যের জের ধরে যুবকের ওপর হামলা, আটক ২