আমরা সবাই ক্ষুধার্ত, তাই বাছ বিচারহীন সবই গিলে গিলে খেতে চাই। ভাবি না কী সর্বনাশ করছি দেশ ও জনতার। চাইলে সুন্দর বরণ্য উপমা হয়ে ভালোবাসার নিবিড় নির্মাণে ছায়াটুকু রেখে উপমা হতে পারি। প্রচণ্ড দাবদাহের পর শুরু হবে আষাঢ়ের আনাগোনা।
মন জেগে উঠে বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে। নান্দিকতায় ছেঁয়ে যায় অপুর্ব সম্ভাবনা। প্রকৃতির বিহবলতার ছোঁয়ায় ধরা দেয় বাদল দিনের কদমফুল। কিন্তু নগর জীবনে তাঁর স্বরূপ সম্পূর্ণ উল্টো। বর্ষাজনিত জলাবদ্ধতা, খাদ নর্দমা রাস্তার কারণে বৃষ্টি বর্ষণে হওয়ার কথা ছিল
স্বস্তির ঠাঁই, সেখানে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। নগরবিদদের পর্যাপ্ত পরিকল্পনা দীর্ঘ সূত্রতায় ভেসে যায় শহর নগর। মনে হয় আমরা এখনো সময় নিধন করে দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরকে অবহেলায় তাড়িয়ে অসংলগ্নতায় ভুগাচ্ছি। শ্রাবণের বাদল ধারা শুরু হলে নগরের বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে হয়ে উঠবে বিরাট জলাশয় যুক্ত ডোবা। তবে ক্ষেত্র বিশেষ কিছু উন্নয়নের ছোঁয়াই সিক্ত হলেও পানি মুক্ত থাকছে না এখনো। আগে ছিল তিন কর্তৃপক্ষ চসিক, সিডিও ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন ও কর্ম নিয়ে রেষারেষি, ঠেলাঠেলি। এখন বর্তমান সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান সৌহার্দ্যে বন্ধুত্বে নতুন মাত্রা যোগ করলেও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণে কতটা যত্নশীল, তা এখন দেখার বিষয়। বলাবাহুল্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়াই পথ হারিয়ে খুঁজতে হয় নতুন অনুসন্ধান।
শুধু রিকসা যান নিয়ে পানিতে সাঁতার কেটেছে নগরবাসী। বর্তমান সিডিএ ও চসিকের মধুর সম্পর্কে যদি এবার রেহাই মিলে। স্বয়ং বহাদ্দার হাটে পানির সয়লাবে বন্দী অবস্থায় থাকতে হয় মাননীয় মেয়রকে। জানি না, প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম উন্নয়নের ধারা সম্পন্ন করতে যৌথ কর্তৃপক্ষ এবার কতটুকু আন্তরিক! তা বুঝার জন্য সন্নিকটে আসা শ্রাবণের বাদল ক্ষণের জন্য অপেক্ষায় দণ্ডায়মার চসিক শাসিত লাখ লাখ জনগোষ্ঠীর। পরিকল্পনার অভাব নেই, তারপরও থামে না দুঃসহময় নানাবিধ সংকট। আশা ভরসার সবই যেন হতাশার কুরুক্ষেত্র। বর্তমান সময়ে সরকার বরাদ্দকৃত চট্টগ্রাম উন্নয়নের সংজ্ঞাটি কি পথ খুজে পাবে? নাকি অবান্তর কর্মে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার পাঁয়তারা হচ্ছে? চটগ্রামে নেতা আছে, সবই আছে, তারপরও কেন এমন বেহাল অবস্থা? স্বল্প সময়ের সাবেক চসিক প্রশাসকের বাস্তবমুখী কর্ম যদি রুটিনে রাখা যেত, হয়ত কিছু সমস্যা প্রাণ পেতো। তবে এখানেও আছে অহং ভাব। নিজে না বুঝি ও অন্যকে মানি, তা হয় না। তাই নাগরিক সমস্যা সমাধানের পথ সহজে মিটে না। আমরা বর্ষার আনোগোনায় শঙ্কিত হয়ে আছি। তাই চাই, সরকার উন্নয়নের হালরশি কোথায় ঝুলে আছে, তা জানতে ও দেখতে। চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘসূত্রিতা নয়, সহসা পেতে চাই চট্টগ্রাম উন্নয়নের ছাড়পত্র।