চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমেরিকায় প্রেরিত তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করাসহ সার্বিক কার্যক্রম দেখতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার চট্টগ্রাম আসছেন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকালে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমেরিকায় রপ্তানি হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই বিপুল পরিমাণ পণ্যের প্রায় পুরোটাই চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আমেরিকায় পাঠানো হয়। আমেরিকায় প্রেরিত পণ্য চালানের মাধ্যমে তাদের দেশের নিরাপত্তা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেজন্য মার্কিন প্রশাসন থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। এর অন্যতম হচ্ছে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়ন। বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে মার্কিন প্রশাসন তাদের আমদানি বাণিজ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে আসছে। বিভিন্ন সময় মার্কিন প্রশাসনের প্রতিনিধি দল কিংবা বাংলাদেশস্থ আমেরিকার দূতাবাস থেকে শীর্ষ কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে বিষয়গুলো সরজমিনে দেখে যান। তাগাদা দেন। কোথাও কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হলে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও পরামর্শ দেন।
অবশ্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শুধু আমেরিকাই নয়, যে কোনো দেশের পণ্য রপ্তানির আগে নিরাপত্তার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করে। কন্টেনার স্ক্যানার থেকে শুরু করে নানাভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরই চালান জাহাজীকরণ করা হয়। রপ্তানিকৃত পণ্যের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেয়া হয় বহুমুখী পদক্ষেপ। মার্কিন প্রশাসন থেকে অতীতে যতবারই বন্দর পরিদর্শন করা হয়েছে ততবারই তারা তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে গেছে।
করোনাকালে মার্কিন প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের টিম চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসেনি। আসেনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ শীর্ষ কোনো কর্মকর্তাও। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসছেন। তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদের সাথে বৈঠক করবেন এবং রপ্তানি কার্যক্রমসহ বন্দরের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন।
বিষয়টিকে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বলা হচ্ছে মার্কিন দূতাবাস থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটি কোনো বিশেষ সফর নয়। স্বাভাবিক একটি কার্যক্রম। বন্দর পরিদর্শনের পাশাপাশি মার্কিন রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সাথেও মত বিনিময় করবেন বলেও সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই ধরনের একটি প্রোগ্রাম আছে। বিশেষ কোনো ব্যাপারে নয়, স্বাভাবিক সফরের অংশ হিসেবেই তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে আসছেন।