ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নিয়ন্ত্রণাধীন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে থাকা বিভিন্ন আঞ্চলিক মহাসড়ক ও সড়ককে চলাচল উপযোগী করার কাজ চলমান রয়েছে। জেলাজুড়ে দপ্তরটির কর্মকর্তারা ছুটি না কাটিয়েই ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও সহজ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এলজিইডি চকরিয়ার উপজেলা প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে জানান, চকরিয়া–মানিকপুর সড়কের বাদশার টেকের স্থানের একটি কালভার্টের বিশাল অংশ ফুটো হয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এতে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ ছাড়াও ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিষয়টি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খানকে অবহিত করা হলে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতেই কালভার্টটি দ্রুত মেরামত করতে কারিগরি দিক–নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনার আলোকে বিপজ্জনক কালভার্টটি মেরামত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একইভাবে উপজেলাজুড়ে আরো যেসব সড়কে ছোট–খাটো সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে তা ঈদের আগেই মেরামত কাজ সম্পন্ন করার তোড়জোড় চলছে।
মানিকপুর সড়কের বাদশার টেকের কালভার্টটি মেরামত কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। গতকাল বৃহস্পতিবার সেই কালভার্ট পুনরায় মেরামতের কাজ তদারকি করেন উপজেলা প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুরাজপুর–মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, এলজিইডির প্রধান সহকারি উত্তর কুমার নন্দী, সার্ভেয়ারসহ এলজিইডির অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ।
সুরাজপুর–মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বাদশটার টেক স্থানটি হচ্ছে একটি ডাকাতির স্পটও। এই অবস্থায় সড়কের কালভার্টটি ভেঙে গিয়ে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। এতে ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছিল ওই স্থান দিয়ে। অবশেষে ঈদের আগেই সেই কালভার্টটি পুনরায় মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় মানুষেরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান বলেন, আমাদের প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে জেলাজুড়ে বিপজ্জনক সড়কগুলো ঈদের আগেই জরুরিভিত্তিতে মেরামত করার। যাতে ঈদযাত্রায় যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করা যায়। সেজন্য ছুটি ভোগ না করেই কর্মকর্তা–কর্মচারীরা মাঠে কাজ করছেন।