কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাটি পরিবহনে নিয়োজিত ডাম্পারের (পিকআপ) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বাসটি মহাসড়ক থেকে পাশের খাদে ছিটকে পড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বরইতলী মাদ্রাসা গেট এলাকায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে আরো চারজন বাস যাত্রী।
নিহতরা হলেন পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার শফিউল আব্বাসের পুত্র ডাম্পার চালক মোহাম্মদ মানিক (২৬), মুরারপাড়ার শাহাব উদ্দিনের পুত্র শ্রমিক মো. তারেকুল ইসলাম বাবু (২২) ও দক্ষিণ মেহেরনামা বলিরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবু বক্করের ছেলে মমতাজ আহমদ (২৮)। বাসের আহত চার যাত্রী হলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার জয়ন্তু বড়ুয়ার কন্যা নিশীথা বড়ুয়া (১৮), স্বপন বড়ুয়ার পুত্র অতুল বড়ুয়া (২২), মৃত দুদু মিয়ার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৭০) ও অংহ্লা মং এর পুত্র হ্লাচিং মং (২৪)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লামা থেকে চট্টগ্রামমুখী সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস (ঢাকামেট্টো-ব-১৪-২০৭৫) ও কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে মাটিভর্তি ডাম্পার (চট্টমেট্টো-অ-১১৬) গাড়িটি মহাসড়কের বরইতলী ইউনিয়নের মাদ্রাসা গেট এলাকায় পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসটি মহাসড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে। এ সময় মহাসড়কের উভয়দিকে প্রায় আধঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনায় পতিত ডাম্পার গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. আনিছুর রহমান জানান, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত চার যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ এবং দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
