কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজের মৎস্য প্রকল্পে লুটপাট চালানোর খবর পেয়ে বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক ইজারাদার। এ সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত চারদিক থেকে ঘিরে তাকে নির্দয়ভাবে পেটায়। এক পর্যায়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফেলে চলে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। ভুক্তভোগী ইজারাদারের নাম শহীদুল ইসলাম (৫২)। তিনি কোনাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন ঘোনা পাড়ার মৃত হারুনুর রশীদের পুত্র।
এদিকে ইজারাদারকে মারধরের পাশাপাশি ওই মৎস্য প্রকল্পে লুটপাট চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫ বস্তা মাছের খাদ্য, মাছের খাদ্য কেনার জন্য খামার বাড়িতে রাখা নগদ ১ লাখ ২৩ হাজার ২২৫ টাকা, দুটি মোবাইল সেট ও প্রকল্প এলাকায় রোপিত গাছের প্রায় লাখ টাকা মূল্যের পেঁপে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালী এলাকায় এই নির্যাতন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মঙ্গলবারও একই সময়ে একদল দুর্বৃত্ত ওই মৎস্য প্রকল্পে লুটপাটের চেষ্টা চালায়।
এদিকে ইজারাদার শহীদুল ইসলামের ওপর চালানো নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
গুরুতর আহত ইজারাদার শহীদুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানান, ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে যুবদল নেতা পরিচয়ধারী সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে মনির, রাসেল, মুবিন, কলিমুল্লাহসহ একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ইজারা নেওয়া মৎস্য প্রকল্পে এই তাণ্ডব, লুটপাট ও শহীদুলের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালায়।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।