চকরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি সড়ক নির্মাণে ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ at ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বছরের পর বছর ধরে অরক্ষিত ও চলাচল অনুপযোগী রয়েছে এমন ৯টি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়ক নতুন করে নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য নিশ্চিত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তিও। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করতে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আরও কয়েকদিনের মধ্যে বাকি সড়ক নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে। এসব অভ্যন্তরীণ সড়কসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর পুনঃনির্মাণে বেশ তোড়জোড় চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চকরিয়ার উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার সাহারবিল, চিরিঙ্গা, কৈয়ারবিল, সুরাজপুরমানিকপুর, হারবাং, ঢেমুশিয়া, কোনাখালী, ফাঁসিয়াখালী ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের মোট ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১২টি মাটির সড়ক এইচবিবিতে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে সম্প্রতি। এছাড়াও ২০২০ সালের ১৬ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বদরখালীপশ্চিম বড় ভেওলাঢেমুশিয়াকোনাখালীবাঘগুজারা সড়কটির সাড়ে ৬ কিলোমিটার নতুন করে নির্মাণসহ সমুদয় প্রকল্পগুলোতে প্রায় ২২ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই বিষয়ে এলজিইডি চকরিয়ার উপজেলা প্রকৌশলী সেফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো নতুন করে নির্মাণের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে। তম্মধ্যে বড় প্রকল্প হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোর বেষ্টনী তথা বাঘগুজারাকোনাখালীপশ্চিম বড় ভেওলা ভায়া বদরখালী সড়ক নতুন করে নির্মাণ। মাতামুহুরী নদীতীর তথা উপকূলের বেষ্টনীর এই সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে। এজন্য দাপ্তরিক কার্যাদি সম্পন্ন করা, দরপত্র আহ্বানসহ ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বানের পর ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ায় অনেক সড়কের কাজও শুরু হয়েছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে শুরু হয়ে যাবে। এতে উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোতে যান ও জন চলাচল নির্বিঘ্নভাবে চলবে।

অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়াসহ এলজিইডির অধীনস্থ এসব সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন, চলতি শুষ্ক মৌসুমে এসব সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হলে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনেক আগেই এসব গ্রামীণ অবকাঠামো নতুন করে নির্মাণের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব সড়ক নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেই সুফল ভোগ করবে নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রুখে দাঁড়াতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাস রুখে দেওয়া হবে