কক্সবাজারের চকরিয়ায় তালিকা প্রস্তুত করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকে গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে পুলিশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে– গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় এবং সন্দিগ্ধ আসামি। তাই তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের একাধিক দল এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে চকরিয়ায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ছোট ভেওলা এলাকার আবদুস সোবাহানের ছেলে ও ইউপি সদস্য এনামুল হক (৬০), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রাজারবিল নয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদু শুক্কুরের ছেলে মো. শহীদ (২৮), আহমদ সোবাহানের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল কবির (৫০), একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহির আহমদ মাস্টারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মো. মাহমুদুল করিম (৩৮), পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকান্দার পাড়ার গোলাম সোবাহানের ছেলে নুরুল মোস্তফা (৩২), দলিলুর রহমানের ছেলে মো. শাহাব উদ্দিন (৫০) ও তার ছেলে মো. মুরাদ (২২), বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পাহাড়িয়া পাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে মো. আসিফ (২০), এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা জামাল উদ্দিন জয়নাল।
তন্মধ্যে এনামুল হক, মো. শহীদ, মাহমুদুল করিম ও নুরুল কবিরকে গত বছরের ১৬ আগস্ট দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে গুলিতে ফোরকান নিহতের ঘটনায় রুজুকৃত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া চলতি বছর ২৮ আগস্ট বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের জনসভা শেষে নেতাকর্মীরা টৈটং ফেরার পথে চকরিয়ার সাহারবিল এলাকায় হামলার ঘটনায় একটি রুজু হয়। এই মামলাতেও সকল আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, তালিকা তৈরি করে অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত দুইদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ জনকে। তাদেরকে ইতোমধ্যে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।