সিএনজিচালিত টেক্সি, মাহিন্দ্রাসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে চকরিয়া–লামা–আলীকদম সড়কে। কর্মসূচির কারণে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে এই সড়কে বন্ধ ছিল গণপরিবহন। এতে চকরিয়া, লামা ও আলীকদমে যাতায়াতকারী যাত্রীরা সারাদিন চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেক যাত্রী গাড়ি না পেয়ে ফেরত যেতে বাধ্য হয়।
এদিকে ধর্মঘট আহ্বানকারী পরিবহন মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, অনির্দিষ্টকালের এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসার আহ্বান জানায় আলীকদম থানা পুলিশ। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণাকারীদের একটি প্রতিনিধি দল চকরিয়া থেকে সুরাজপুর–ইয়াংছা সড়ক দিয়ে আলীকদমের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে দুপুর বারোটার দিকে সড়কের সুরাজপুরস্থ নিভৃত–নিসর্গ পার্কের কাছে সেগুন বাগান এলাকায় ‘তিন চাকার যানবাহনের চালক–শ্রমিকদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের’ ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তারা। হামলার কারণে নেতৃবৃন্দের আর আলীকদম থানায় যাওয়া হয়নি। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন তিনজন চালক ও শ্রমিক। তারা হলেন জিপচালক আবদু ছালাম (৪৫), শ্রমিক জামাল উদ্দিন (৫৫) ও রুহুল কাদের (৩৫)। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই হামলা পরিকল্পিত দাবি করে পরবর্তী করণীয় নিয়ে পরিবহন মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালস্থ সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করে হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ সময় পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি হামলার ঘটনার প্রতিকার কামনা করেন তারা। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, যতদিন পর্যন্ত চকরিয়া–লামা–আলীকদম সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাহিন্দ্রাসহ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করা হবে না, ততদিন পর্যন্ত কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন নামাবেন না তারা।
নেতারা আরও বলেন, চকরিয়া–লামা–আলীকদম সড়কে তিন চাকার গাড়ি যাত্রী নিয়ে চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই এসব গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে কঙবাজারের চকরিয়া ও বান্দরবান জেলাসহ ওই জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করেন বাস–জিপ মালিক ও শ্রমিক সংগঠন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আবেদন করলেও সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সেই দাবির কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই মঙ্গলবার (গতকাল) ভোর থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এই পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।