চকরিয়া-পেকুয়া থেকে যোগ দেবে ৫০ হাজার মানুষ

মাতারবাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা

চকরিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৮ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি। বক্তব্য দেবেন মহেশখালীর মাতারবাড়িতে টাউনশীপ মাঠের জনসভায়। এজন্য আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপান্তর করতে কক্সবাজার১ সংসদীয় আসনের চকরিয়া উপজেলা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা, পেকুয়া উপজেলা এবং চকরিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ২৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রস্তুতিও। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রত্যেক ইউনিয়নে চলছে বর্ধিত সভাও। ব্যাপকভাবে জনসমাগম উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন নেতারা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রস্তুতি সভা করেছেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি। বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা। সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর। সভায় পৌরসভার আওতাধীন ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, চকরিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর পশ্চিম প্রান্তেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল। তাই পৌরসভা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক মানুষ অংশ নেবে জনসভায়। একইদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নারে প্রস্তুতি সভা করেন চকরিয়া উপজেলা যুবলীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলার সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির। যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি জাফর আলমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ। এই বিষয়ে কক্সবাজার১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার পাশেই হচ্ছে মাতারবাড়ি টাউনশীপ মাঠ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমণে চকরিয়া, পেকুয়া, মাতামুহুরী উপজেলার মানুষ বেশ উৎফুল্ল। সেই জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে গত একসপ্তাহ ধরে প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে যোগ দেবে ৫০ হাজার মানুষ। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমঈনউদ্দীন খান বাদলের নামে নগরের একটি সড়কের নামকরণের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধদেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে