নগরের চকবাজার কাঁচাবাজার থেকে ফুলতলী পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে বসানো ৭০ থেকে ৮০টি স্থায়ী ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। সংস্থাটির পরিচ্ছন্ন বিভাগ গতকাল এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে মনিটরিং করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। রাস্তার দুই পাশে ভ্যানগাড়ি এবং স্থায়ীভাবে দোকান গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে। বেশিরভাগই তরি-তরকারির দোকান। এসব দোকানের উচ্ছিষ্ট বা অন্যান্য মালামাল পাশের চাক্তাই খালে ফেলা হয়। এতে একদিকে সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে, অন্যদিকে ভরাট হয়ে পড়ছে খাল।
সড়কটি থেকে আরো প্রায় ছয় ট্রাক আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যানগাড়ির নিচে এসব ময়লা-আবর্জনা পড়ে ছিল। আগামী ১৫ দিন প্রতিদিন সড়কটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
এ ব্যাপারে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরীতে রাস্তাঘাট ও নালা-নর্দমার উপর অবৈধ স্থাপনা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাটের পসরাপাতি অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নালা-নর্দমা ও খালে আবর্জনা এবং বর্জ্য ফেলে যারা পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে, তারা হিতাহিত জ্ঞানহীন অবিবেচক। তাদের নগরীতে বাস করার অধিকার নেই। নগরবাসী যদি সচেতন না হন তাহলে শুধু উচ্ছেদ নয়, আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
উচ্ছেদ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, প্রণব শর্মা ও হাসান রশিদ।