চাকরির ক্ষেত্রে চরম নীতি বৈষম্যের শিকার বেসরকারি চাকরিজীবীগণ। সরকারি চাকরিজীবীরা উচ্চ বেতনের পে স্কেল সহ, সাপ্তাহিক দুই কর্মদিবস ছুটি, উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা সুবিধা পেতে থাকে। এছাড়া উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা সরকারি গাড়ি বাড়ি সহ আরো বিশেষ সুবিধা পেতে থাকে। এতসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরও সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের করে। উচ্চ পদে আসীন থাকা এই সব সরকারি কর্মকর্তা দম্ভ করে বলে, এই পদে আসীন হওয়ার জন্য কয়েক লাখ হতে কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা কোনো প্রকার গোপনীয়তা রাখত না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করে তা পরিশোধ না করলে তাদের ফাইল আটকে থাকবে। বিশেষ করে সাব রেজিস্টার অফিস, ভূমি অফিসের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সাধারণ জনগণ। ‘ঘুষ খায় না’ এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তার সন্ধানে বিগত সরকারের আমলে আমি হন্যে হয়ে ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি। কোথাও পাইনি নীতিবান সরকারি কর্মকর্তা। ঘুষ ছাড়া হয়নি বৈধ কিংবা অবৈধ কোনো কাজ। এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আকুল আবেদন, সরকারি উচ্চ পদে সৎ ও আদর্শবান লোক যেন নিয়োগ পায়।
শাহ নেওয়াজ
বন্দর, চট্টগ্রাম।