সেবা প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে হয়রানি, ঘুষ আদায় ও পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের অভিযোগে নগরীর লাভ লেইন এলাকায় থাকা চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদকে অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ থেকে চারসদস্য বিশিষ্ট একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন। অভিযান পরবর্তী তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এনআইডি সংশোধনের জন্য ছয়জন আবেদনকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আমাদের আজকের এ অভিযান। আমরা জেলা নির্বাচন অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। ছয়টি আবেদন সংক্রান্ত সব তথ্য ও নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। আবেদনকারীদের অভিযোগ ছিল, এসব আবেদন বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা ছয় আবেদনের সবগুলোই নিষ্পত্তি করার প্রমাণ পেয়েছি। দুদক কর্মকর্তা বলেন, এখানে এনআইডি সংশোধন করতে ঘুষ লেনদেনের একটা অভিযোগ আছে। একটা এনআইডি সংশোধন করতে এখানকার কর্মকর্তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দালালদের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন, এমন অভিযোগ ছিল। এখানে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, উনাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। দুজন কর্মকর্তা এবং পুরো অফিসের সঙ্গে দালালদের একটা কানেকশনের একটা বিষয় ছিল। এগুলো আমরা যাচাইবাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। এছাড়া এনআইডি সংশোধনের বিভিন্ন পর্যায়ে, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে হয়রানির অভিযোগ আছে, সেগুলো আমরা যাচাই বাছাই করবো। যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের আবেদন এবং ডকুমেন্ট আমরা এখান থেকে সংগ্রহ করেছি।
পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের তথ্য পাবার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের বিষয় এসেছে। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেছেন, এগুলো তাদের অ্যাকাউন্ট নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে এগুলো কার অ্যাকাউন্ট সেটা এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টগুলো নেব। ওই অ্যাকাউন্টের সাথে এখানকার কোনো কর্মকর্তার কানেকশন আছে কিনা সেটা আমরা যাচাই বাছাই করে দেখবো।