ঘুমের রাজ্যে পৃথিবী স্বপ্নময়

মোয়াজ্জেম হোসেন | বুধবার , ১০ মে, ২০২৩ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়’ হতে পারে, ঘুমের রাজ্যে পৃথিবী শান্তিময় হতে পারে, পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ কারা? যারা চাওয়ামাত্র ঘুমাতে পারে। যাকে বলে ইচ্ছে ঘুম। ঘুমের চেয়ে শান্তির আর কী হতে পারে? অবশ্য যারাই টেনশনে বা রোগে ভুগে সারা রাত জেগে বিছানায় এপাশওপাশ করেছেন তারা এই কথার সাথে একমত হবেন না, এতে কোনো সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক নেতা ও ভিআইপি বন্দিদের পুলিশ রিমান্ডে তথ্য উপাত্ত বের করার জন্য ঘুমাতে না দিয়ে শাস্তি প্রয়োগ করে। যা গোপনীয় তথ্য বের করার কার্যকর পন্থা হিসেবে ব্যবহার করে। একটানা গভীর ঘুম আপনার এনার্জিকে বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি অথবা কাজের ফাঁকে ক্লান্তিতে একটুখানি বিশ্রাম বা দশ পনের মিনিটের ঘুম কাজের শক্তিকে অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। কম্পিউটারের মতন মানুষের ব্রেনেরও ‘রিফ্রেশারের’ কাজ করে এই ঘুম। তবে এটাও ঠিক যে, ঘুমটা হতে হবে পরিমিত। বেশি বা কম হলেই সারাদিন বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষের বয়স অনুযায়ী পরিমিত ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম হল দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমের সময় সচেতন ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করে পরবর্তী দিনের কাজের জন্য আমাদের তৈরি করে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঘুম কম হলে নতুন স্মৃতি তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন, মোবাইল, ইন্টারনেট বন্ধ করুন। রাতে ভারী ও চর্বিযুক্ত খাবারকে না বলুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধরাবীন্দ্রিক প্রেম