দফায় দফায় সংঘর্ষ, মাঠে এবং মাঠের বাইরে বিশৃংখলা, সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ম্যাচে জয় পেয়েছে আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি। বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন আয়োজিত মেয়র অনূর্ধ্ব–১৩ একাডেমি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। গতকাল তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ বয়েজ ফুটবল একাডেমিকে ২–০ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি। খেলার শুরুতেই বিঘ্ন ঘটে আনোয়ারা ফুটবল একাডেমির এক ফুটবলারকে বাদ দিলে। প্রায় আধঘন্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। মাঠে দু’দলের ক্ষুদে ফুটবলারের মাঝেও দেখা দেয় মারামারি করে খেলার প্রবনতা। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে দু’দলের ফুটবলাররা সংঘর্ষে জড়ালে রেফারী এবং ডিএফএ এর কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে সুমনের গোলে এগিয়ে যায় আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধও ঠিকঠাকই চলছিল। এই অর্ধে কাউসার গোল করে আনোয়ারা ফুটবল একাডেমিকে ২–০ গোলে এগিয়ে দেয়। খেলা যখন প্রায় শেষের দিকে তখন ঘটে অনাকাংখিত ঘটনা। খেলার তখন মাত্র দুই মিনিট বাকি। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দু’দলের খেলোয়াড়রা মারামারিতে লিপ্ত হয়। সে মারামারি থামাতে ডিএফএ সভাপতি সহ কর্মকর্তারা মাঠে প্রবেশ করেন। তখন বাংলাদেশ বয়েজ ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তারা ডিএফএ কর্মকর্তাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তারা ডিএফএ কর্মকর্তাদের মারতে উদ্যত হয়। মাঠ থেকে মুহূর্তেই সে ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারীতে। গ্যালারীতে থাকা আনোয়ারা ফুটবল একাডেমির সমর্থকদের উপর হামলা করে বাংলাদেশ বয়েজ ফুটবল একাডেমির সমর্থকরা। প্রায় দশ মিনিটের মত মারামারি চলার পর মাঠে থাকা সেনা সদস্যদের সহায়তা চায় ডিএফএ কর্মকর্তারা। পরে সেনা সদস্যদের সহায়তায় দর্শকদের বের করে দিয়ে পুনরায় খেলার আয়োজন করা হয়। বাকি দুই মিনিট খেলা চালিয়ে রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে খেলা শেষ করে। আর তাতেই দারুণ এক জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় আনোয়ারা ফুটবল একাডেমি। ম্যাচ সেরা হয়েছে বিজয়ী দলের রিয়াজুল আনোয়ার।
তার হাতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত পাবলু। আজ ৪র্থ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে শিকলবাহা ফুটবল একাডেমি এবং পাঠানটুলী ফুটবল একাডেমি। চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় এ খেলা অনুষ্ঠিত হবে।