হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়িসকে হত্যার অভিযানে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন আগে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করতেন বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত লোকজন জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ময়িস হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া একজন হাইতিয়ান মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) সাবেক তথ্যদাতা ছিলেন বলে সোমবার ডিইএর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
গত সপ্তাহে ময়িস হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন সন্দেহে দুই হাইতিয়ান মার্কিন নাগরিক জোসেফ ভিনসেন্ট (৫৫) ও জেমস সোলাগেসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে হাইতির কর্তৃপক্ষ। এরা আরও ২৬ কলম্বিয়ানের সঙ্গে যোগ দিয়ে ময়িসের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই দুই ব্যক্তির মধ্যে কোন জন ডিইএর তথ্যদাতা ছিলেন তা জানাতে রাজি হননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা। এক ইমেইলে ডিইএর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ময়িস হত্যাকাণ্ডের এক সন্দেহভাজন ডিইএর গুপ্ত তথ্যদাতা ছিলেন।’ হত্যাকাণ্ডের পর ওই সন্দেহভাজন ডিইএর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং ডিইএ তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিএনএনের প্রশ্নের জবাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডিইএও স্বীকার করেছে, হাইতির কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত একজন আগে তাদের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছে। হামলার সময় কিছু হত্যাকারী নিজেদের ‘ডিইএর এজেন্ট’ বলে পরিচয় দিয়েছিল এমন প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে তারা জ্ঞাত আছে বলে ডিইএ জানিয়েছে। তবে কোনো হামলাকারীই তাদের সংস্থার হয়ে কাজ করছিল না বলে বিবৃতিতে বলেছে ডিইএ। ঘটনার বিষয়ে অবহিত লোকজন সিএনএনকে জানিয়েছেন, অন্যান্য হামলাকারীদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিল, তাদের কেউ কেউ এফবিআইয়ের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির কর্তৃপক্ষগুলো এ তদন্তের বিষয়ে সীমিত তথ্য দিয়েছে, কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ফ্লোরিডার সঙ্গে সংযোগ থাকা লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এমন একটি অভিযানের ছবি পাওয়া যাচ্ছে যার অন্তত কিছু অংশের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রে বসেই করা হয়েছে।