গ্রেপ্তার ১১ জন পুলিশের ওপর হামলা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

আইনজীবী আলিফ হত্যা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতের অদূরের মেথরপট্টিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় গ্রেপ্তার সেই ১১ জনকে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত। আইনজীবী আলিফকে খুনের আগে চিন্ময় অনুসারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক গ্রেপ্তার দেখানোর এ আদেশ দেন।

এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশের করা উক্ত মামলায় ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়। ১১ আসামি হলেন, প্রেম নন্দন দাশ, রণব দাশ, বিধান দাশ, বিকাশ দাশ, রুমিত দাশ, রাজ কাপুর, সামির দাশ, শিবকুমার দাশ, ওম দাশ, অজয় দাশ ও দেবী চরণ। তারা মেথরপট্টি এলাকার বাসিন্দা। গত ২৬ জানুয়ারি মেথরপট্টি এলাকা থেকেই নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তারও আগে চাঞ্চল্যকর আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রাহানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালতসূত্র জানায়, কোতোয়ালী থানার একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে বিচারক সেটি নাকচ করে দেন।

একপর্যায়ে পুলিশ তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তার অনুসারীরা পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং লাঠিপেটা শুরু হলে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়। তখন চিন্ময় অনুসারীরা আদালত পাড়ায় তাণ্ডব চালায়। আদালত পাড়ার অদূরের মেথরপট্টিতে খুন করা হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে। এসব ঘটনায় সবমিলে সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালী থানায় ৬টি ও আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৭৯ জনের নামে তিনটি, আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে একটি (হত্যা মামলা) ও তার ভাই বাদী হয়ে ১১৬ জনের নামে একটি ও মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ী ২৯ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মো. এনামুল হক নামের একজন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নামে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত সেটি কোতোয়ালী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচালকের চোখে ঘুম, দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাইক্রোর ধাক্কা
পরবর্তী নিবন্ধখাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসো’র নির্বাচনে ৪১ পদে ৪৪ মনোনয়নপত্র জমা