গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসে রান্নায় ব্যবহৃত বোতলজাত গ্যাসের দাম দুই দফা বৃদ্ধির বিষয়ে গতকাল শনিবার নোয়াখালীতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
বেগমগঞ্জ–৪ (ওয়েস্ট) কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এদিন তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে যান। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করত। এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমদানি করে থাকে তাদের সাথে কথা বলে বোতলজাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে। খবর বিডিনিউজের।
বিগত সময়ে দেশে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করে নিজেরা দুর্নীতিমুক্ত থাকার অঙ্গীকার করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবাইকে দুর্নীতির ঊর্ধ্বে রাখা হবে এবং কোথাও কোনো দুর্নীতি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত এবং বাসা বাড়িতে গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা স্বীকারও করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের ৪ হাজার এমএমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩ হাজার এমএমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।
বাসা বাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে এমন কথা একটি মিথ্যা আশ্বাস হবে। তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেঙের মাধ্যমে ১৫০টি কূপ খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।
নোয়াখালী ডিসি খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক, বাংলাদেশে পেট্রোলিয়ম এঙপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশনস কোম্পানি লিমিটেড– বাপেঙের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।