ছবক দিতে না পারায় বাঁশখালীতে মো. আশরাফুল ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক হাফেজ মো. আলম প্রকাশ হাফেজি হুজুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন থেকে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক। খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের গণি চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন দারুস সুন্নাহ রহমানিয়া মাদরাসায় গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন রোববার বিকালে এলাকাবাসী ও সহপাঠীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পারেন বলে জানান শিশুটির পিতা মো. শফিউল আলম মানিক। তিনি বলেন, আমার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম ওই মাদরাসার হেফ্জ বিভাগের শিক্ষার্থী। আঠারো পারা হেফজ সম্পন্ন করেছে। ঘটনার দিন সকালে ছবক (পড়া হাজিরা) দিতে না পারায় হুজুর মারধর করেন। দুপুরে নাস্তার বিরতির সময় ওই হুজুর গ্যাসের চুলায় পানি বসিয়ে গরম করেন। পরে আশরাফুলের পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি খুলে গরম পানি ঢেলে দেন। এতে আমার ছেলের শরীর ঝলসে যায়। বিনা চিকিৎসায় মাদরাসায় আটকে রাখা হয় তাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে গুনাগরীর আয়েশা সিদ্দিকা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে মাদরাসার সুপার আমিনুর রশিদকে ফোন দেওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় শুনে কথা না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. ইউসুফ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। এভাবে মারধর করা হুজুরের উচিত হয়নি। হুজুরের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, হুজুর পালিয়ে যাননি। এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে আহত শিশুর পিতাকে ডাকা হবে। ওই হুজুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।